শিক্ষায় শিখনের প্রভাব আছে কি? শিখনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করাে।

শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে শিখনের প্রভাবই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বিষয়ে আলােচনা করতে গেলে সর্বাগ্রে এসে যায় শিখন প্রসঙ্গ। শিখন এমন একটি অনন্ত প্রক্রি
শিক্ষা ও শিখন : শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে শিখনের প্রভাবই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বিষয়ে আলােচনা করতে গেলে সর্বাগ্রে এসে যায় শিখন প্রসঙ্গ। শিখন এমন একটি অনন্ত প্রক্রিয়া যা আমৃত্যু চলতেই থাকে। শিখন প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়েই শিশু পরিবেশ ও সমাজের সঙ্গে মানিয়ে চলতে অভ্যস্ত হয়। শিখন হলাে সুসংগঠিত একটি পদ্ধতি যা ব্যক্তিকে বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ করে। শিক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য শিশুকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তােলা।

শিখনের প্রকৃতি : শিখন বিষয়ে সম্যকভাবে অবহিত হতে হলে শিখনের প্রকৃতি বা চরিত্র বুঝে নেওয়া প্রয়ােজন। শিখনের প্রকৃতি মােটামুটি এইরূপ –

নব নব অভিজ্ঞতা :শিখন শিশুকে প্রতিদিন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনে অভ্যস্ত করে। শিখনের মাধ্যমে শিশু পুরনাে আচরণ পালটে ফেলে নতুন আচরণে অভ্যস্ত হয়। 
আচরণগত পরিবর্তন : শিখন চলতে থাকলে শিশুর আচরণে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। আচরণগত পরিবর্তনই শিখনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা : শিখন প্রক্রিয়া শিশুকে নতুন কিছু শিখতে অনুপ্রাণিত করে। যে শিশু একদিন জ্বলন্ত কয়লায় হাত দিয়েছিল, বড়াে হয়ে সে কিন্তু শিখনের কারণেই এই আচরণ আর করে না। অর্থাৎ তার এবিষয়ে জ্ঞান অর্জন হয়েছে।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য : সব ক্ষেত্রে শিখন হয় উদ্দেশ্যমুখী। কারণ উদ্দেশ্য বা লক্ষ্যবিহীন শিখন প্রক্রিয়া পরিপূর্ণতা পায় না।
নতুন কিছু করার তাগিদ : শিখনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলাে সমস্যার উপস্থিতি। জীবনে জটিলতা বা সমস্যা দেখা না দিলে শিশু নতুন কিছু করার তাগিদ অনুভব করে না। সমস্যা সমাধানের মাধ্যমেই শিশু নতুন কিছু করার আনন্দ খুঁজে পায় এভাবেই তার আচরণে আসে নতুনত্ব।
অনুশীলনের উপর নির্ভরতা : শিখনের সাফল্য অনেকাংশে অনুশীলনের উপর নির্ভরশীল। অনুশীলনের প্রভাবে শিখন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এজন্যই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শিখনের হার লঘু হয়ে যায়।
Write Your HideComments
Cancel

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box