বুদ্ধি কী ? এর বৈশিষ্ট্য লেখাে। শিখনের ক্ষেত্রে মানসিক ক্ষমতার ভূমিকা আলােচনা করাে।
বুদ্ধির সংজ্ঞা : এটি শিখনের অন্যতম উপাদান। যে কোনাে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং কার্যকরী প্রয়ােগের ক্ষমতাকেই বলে বুদ্ধি। মনােবিদগণ বিভিন্নভাবে বুদ্ধিকে বিশ্লেষণ করেছেন। তার ভিত্তিতে বলা যায়—
বুদ্ধি হলাে ব্যক্তির একটি জৈব-মানসিক কৌশল যার মাধ্যমে চটজলদি জীবনের যে কোনাে পরিস্থিতি বা সমস্যার মােকাবিলায় ব্যক্তি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে এবং সমাধানসূত্র নিরূপণে নিজস্ব শক্তি প্রয়ােগ করতে পারে।
■ বুদ্ধির বৈশিষ্ট্য : বুদ্ধির বিচ্ছুরণ বিভিন্নভাবে ঘটতে পারে। এর উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলাে—
1) নিত্যনতুন সমস্যা / পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে সাহায্য করে বুদ্ধি।
2) অনেক জটিল, বিমূর্ত বিষয় নিয়ে ব্যক্তিকে ভাবতে শেখায় বুদ্ধি।
3) পুরনাে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার মােকাবিলা করতে শেখায় বুদ্ধি।
4) তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে বুদ্ধি।
5) সমস্যার চুলচেরা বিশ্লেষণে বুদ্ধির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
6) যে কোনাে নতুন জিনিস শেখার ক্ষেত্রে বুদ্ধি সহায়তা করে।
■ শিখনে মানসিক ক্ষমতার ভূমিকা : শিখনের কার্যকারিতা অনেকাংশে শিক্ষার্থীর মানসিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
1) শিক্ষার্থীর আই কিউ(বুদ্ধ্যঙ্ক) অনুযায়ী তার শিক্ষাগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বুদ্ধির অভাব থাকলে পড়াশােনায় অগ্রগতি অসম্ভব।
2) বুদ্ধির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীকে পৃথকভাবে বিদ্যাদান করলে পাঠদান গতি পায়।
3) শিক্ষার্থীর বুদ্ধি ও মেধা অনুযায়ী পাঠক্রম বাছাই করা উচিত। এতে সফলতা আসা সম্ভব।
4) শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কোন পেশা বেছে নেবে সেটাও বুদ্ধির উপর নির্ভরশীল।