১। একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ 'আয়রে ছুটে ছোট্টরা' - ছোটোদের কেন ছুটে আসতে
হবে?
উত্তরঃ সুনির্মল বসুর লেখা ‘ গল্প বুড়ো’ কবিতায় কবি
গল্প বুড়োর তল্পিতে কি আছে টা দেখার জন্য ছোটদের ছুটে আসতে হবে ।
১.২ '... আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।' - জোয়ানদের
ঘাঁটিটি কোথায় ছিল?
উত্তরঃ
লাডাকের বরফে ঢাকা একটি নির্জন জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।
১.৩ 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য কারা?
উত্তরঃ
ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের লেখা 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় মেজদার পোষ্য ছিল আটটি
কুকুর ।
১.৪ 'উলগুলান' কাদের লড়াই?
উত্তরঃ
'উলগুলান' মুন্ডাদের লড়াই?
১.৫ 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় কোথায় কবিসভা
বসবে?
উত্তরঃ
আল মাহমুদের লেখা 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় রক্তপাত কোপের কবিসভা বসবে ।
১.৬ 'তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই-' - বিমলার কেন
মনে হয়েছে যে তার দাম কমে গেছে?
উত্তরঃ
নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা ‘বিমলার অভিমান’ কবিতায় বিমলাকে বাড়ির সব কাজ করতে হয়
কিন্তু যখনি খাবার আসে দাদা বড় এবং ভাই ছোটো বলে তাদের বেশি বেশি দেওয়া হয় । তাই বিমলার
মনে হয়েছে যে তার দাম কমে গেছে ।
১.৭ 'ও যেন দিনের বেলাকার রাত্তির...' - কোন্ সময়টিকে
লেখক 'দিনের বেলাকার রাত্তির' বলেছেন?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘ছেলেবেলা’ পাঠ্যাংশে দুপুর বেলাকে কবি 'দিনের বেলাকার রাত্তির' বলেছেন ।
২। নিজের ভাষায় উত্তর দাওঃ
২.১ 'গল্পবুড়ো' কবিতায় রূপকথার কোন্ কোন্ প্রসঙ্গে
উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তরঃ
সুনির্মল বসুর লেখা ‘ গল্প বুড়ো’ কবিতায় কবি রুপ কথার যে যে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন
সেগুলি হল – দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ , রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ, মনপবনের দাঁড়খানা
প্রভৃতি আজগুবি গল্প ছাড়াও সোনার কাঠি, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী প্রভৃতির
প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন ।
২.২ 'এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল।' -
জোয়ানদের সেই শীতকাল যাপনের কথা কীভাবে 'বুনোহাঁস' গল্পে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ
লাডাকের একটা নির্জন জায়গায় জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল। তখন শীতের শুরু, দলে দলে
বুনোহাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত, জওয়ানরা দেখল একটা বুনোহাঁস দল ছুট হয়ে ঝোপের মধ্যে
এসে পড়ল । সঙ্গে সঙ্গে তার সঙ্গী অপর একটি বুনো হাঁস নেমে এসে তার চারপাশে ঘুরতে
লাগল । এদিকে বরফ পড়তে শুরু করায় জওয়ানরা তাদের তাঁবুর মধ্যে এনে রাখল । একটি
হাঁসের ডানা জখম হয়েছে ।
হাঁসেদের দেখা শোনা করা জওয়ানদের একটা আনন্দের কাজ হয়ে দাঁড়াল । জখম হাঁসের
ডানা সারতে লাগল । সে একটু একটু করে উড়তে লাগল । এমনি করেই সারা শীত দেখতে দেখতে
কেটে গেল ।
২.৩ 'নালিশ আমার মন দিয়ে খুব/শুনুন বড়োবাবু।' - থানায়
বড়োবাবুর কাছে হাবু কী কী নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তরঃ
ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের লেখা 'দারোগাবাবু এবং হাবু' কবিতায় হাবু বড়োবাবুর কাছে যে
নালিশ জানিয়েছিল তা হল – তার বড়দা ঘরে সাতটা বেড়াল, বারন করা সত্যেও মেজদা আটটা
কুকুর এবং সেজদা পোষেন দশটা ছাগল যেগুলো সে তার ঘরেই বেঁধে রাখেন । যার জন্য তার
গন্ধে প্রান যায় যায় অবস্থা । এইসব নালিশ হাবু করেছিল ।
২.৪ 'এতোয়াকে দেখলে মনে হয় দুরন্ত এক বাচ্চা ঘোড়া।'
- উদ্ধৃতটির আলোকে এতোয়ার কাজকর্মের পরিচয় দাও।
উত্তরঃ
মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘এতোয়া মুন্ডার কাহিনী’ পাঠ্যাংশে এতোয়ার বয়স মাত্র দশ বছর ।
এই ছোট বয়সেই তাকে অনেক কিছু ভাবতে হয় । গ্রামে প্রতি সপ্তাহে হাট বসে সেখানে
দোকানে ঝাঁট দিকে একটি বস্তা চেয়ে নেয় । বাগানে গরু চরাতে চরাতে ও কুড়িয়ে নেয় টোকো
আম, শুকনো কাঠ, মেটেআলু, শাক সবই ওর বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে নেয় ।
গরু
মোষ চরাতে চরাতেও পাড়ি দেয় ডুলুং পেরিয়ে সুবর্ণরেখা নদী, নদী যেখানে সরু সেখানে সে
জাল পেতে মাছ ধরে । এইসব কাজ এতোয়া করে থাকে ।
২.৫ 'ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর...।'
- তারপর কী কী ঘটল, তা পাখির কাছে ফুলের কছে কবিতা অনুসরণে লেখো।
উত্তরঃ
আল মাহমুদের লেখা 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতায় কবি ছিটকিনি খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে
আসার পর লক্ষ্য করলেন ঝিমধরা মস্ত শহরটা থরথর করে কাঁপছে, মিনারটিকে মনে হচ্ছিল
যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে, পাথরঘাটার গির্জাটাকে দেখে মনে হচ্ছিল লাল পাথরের ঢেউ, কবি
দরগাতলা পার হয়ে যেই মোড় ফিরেছে এমনি এক অপরিচিত পাহাড় এসে ডাক দিল । ঐ পাহাড়টিকে
পেরিয়ে লালদিঘির পাড়ে গিয়ে দেখল সেখানে জোনাকিদের সভা চলছে । কবিকে দেখে দিঘির
কালো জল কলকলিয়ে বলল এসো আমরা সবাই আজ না ঘুমানোর দলে তোমার পকেট থেকে পদ্য লেখার
ভাঁজ খোল আজ রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্য হবে দিঘির এই কথা শুনেই ফুল পাখিরা কলরব
জুড়েদিল । কবি কোন উপায় না পেয়ে তার পকেট থেকে ছড়ার বই বের করে তাদের কাছে নিজের
মনের কথা বলতে লাগল ।
২.৬ 'বিমলার অভিমান' কবিতা অনুসরণে বিমলার অভিমানের
কারণ বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ
নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা ‘বিমলার অভিমান’ কবিতায় বিমলার অভিমানের কারন হল – বিমলাকে বাড়ির
সব কাজ করতে হয় যেমন – পুজোর ফুল তোলা, খোকা কাঁদলে তাকে নেওয়া, ছাগল তাড়ানো থেকে
শুরু করে দাদা খেতে বসলে তার পাতে লবন দেওয়া, পানে যদি ঝাল লাগে তাহলে চুন এনে
দেওয়া অর্থাৎ, সবার প্রায় সব কাজেই বিমলাকে করতে হয় । কিন্তু খাবার যখন আসে তা
বাড়ির সবাই পেলেও তার কথা কারো মনে থাকে না । দাদা বড়ো বলে বেশি পাবে আবার ভাই ছোট
তাই তাকেও তার থেকে বেশি দেওয়া হবে । সোনার চূড়োর মাঝে যেমন ছাইয়ের নুড়োর কোন দাম
থাকে না, তমনি বিমলার কোনো দাম নেই । এইসব কারনেই বিমলার অভিমান যুক্তিযুক্ত ।
২.৭ 'ছাদটা ছিল আমার কোতাবে - পড়া মরুভূমি...' - ছেলেবেলা
রচনাংশে ছাদের প্রসঙ্গটি লেখক কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ
‘ছেলেবেলা’ রচনাংশে বালক রবীন্দ্রনাথের কাছে বাইরের খোলা ছিল প্রধান ছুটির দেশ ।
ছোটো থেকে বড় বয়স পর্যন্ত নানান স্মৃতি ওই ছাদে নানাভাবে বয়ে চলেছে । রবীন্দ্রনাথের
পিতার জায়গা ছিল তেতলার ঘরে । মাঝে মাঝেই তিনি পাহাড়ে পর্বতে বেড়াতে চলে যেতেন তখন
ওই ছাদে যাওয়া ছিল তার কাছে সাত সমুদ্দুর – পারে যাওয়ার আনন্দ । তিনি প্রায়ই
লুকিয়ে লুকিয়ে ছাদে উঠতেন । এই দুপুর বেলাটা তার মনে হত রাত্রির । সকলে পেট ভরে
খেয়ে ঘুম দিচ্ছে তখন চুপিসারে পাড়ি দিত ছাদে । ছাদটা ছিল তার কাছে কেতাবে মরুভুমি
যেন চারিদিকে ধু ধু করছে, গরম বাতাস ধুলো উড়িয়ে হু হু করে ছুটে যাচ্ছে । আর এই
ছাদের মরুভুমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দেয় । লেখক ছুটে চলে যেত তেতলার স্নানের ঘরে
। ধরাজলে স্নান সেরে সহজে মানুষ হয়ে বসত ।
৩। নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
:
৩.১ সন্ধি করো :
৩.১.১ মিশি + কালো = মিশকালো
৩.১.২ এত + দিন = এদ্দিন
৩.১.৩ বড়ো + ঠাকুর = বট ঠাকুর
৩.১.৪ সৎ + গ্রন্থ = সদ গ্রন্থ
৩.১.৫ দিক্
+ নির্ণয় = দিকনির্ণয়
৩.২ নীচের পদগুলি ব্যঞ্জন সন্ধির কোন্ কোন্ নিয়ম
মেনে বদ্ধ হয়েছে, লেখো :
৩.২.১ প্রচ্ছদ
= প্র + ছদ ( এখানে ‘অ’ স্বরধ্বনির পরে ‘ছ’
থাকার বদলে ‘চ্ছ’ হয়েছে )
৩.২.২ প্রাগৈতিহাসিক = প্রাক + ঐতিহাসিক ( এখানে দেখা যাচ্ছে পরে থাকা স্বরধ্বনির
কারনে অঘোষ ‘ক’ ধবনি পাল্টে ঘোষ ‘গ’ ধ্বনির রুপ নিচ্ছে । এই ঘটনাকে বলে ‘ঘোষীভবন’ )
৩.২.৩ সদিচ্ছা
= সৎ + ইচ্ছা ( ‘ত’ পরে ‘ই’ থাকার জন্য ‘ত’
বদলে ‘দ’ হয়েছে। এখানে ঘোষীভবন হয়েছে । )
৩.২.৪ বিদ্যুৎদ্বেগ=
বিদ্যুৎ + বেগ ( শেষে ‘ব’ থাকার জন্য ‘ত’ বদলে ‘দ’ হয়েছে । এখানে ঘোষীভবন
হয়েছে । )