দশম শ্রেণীর বাংলা জ্ঞানচক্ষু গল্পের ছোট প্রশ্নোত্তর
1.‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটি কে লিখেছেন?
উত্তর: আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম বিশিষ্ট লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটি লিখেছেন।
2.শ্রেণিগত বিচারে ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটি কোন্ শ্রেণির অন্তর্গত?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটি কিশোর গল্প সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোটোগল্প।
3.‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প রচয়িতার অন্য তিনটি সাহিত্যরচনার নাম লেখো।
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পের লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর অজস্র গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি উপন্যাস হল—‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘সুবর্ণলতা’, ‘বকুলকথা’। এই তিনটি সাড়া জাগানো উপন্যাস হল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত ‘ট্রিলজি'।
4.কার চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের চোখ মার্বেল-এ নিশ্চল হয়ে গিয়েছিল। -এর মতো
5.‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!'— কোন্ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তরঃ তপন যখন শুনল তার সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী অর্থাৎ তার নতুন মেসো একজন লেখক, তখন বিস্ময়ে তার চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গেল।
6. তপনের কোন্ মাসির সঙ্গে নতুন মেসোর বিয়ে হয়?
উত্তর: তপনের চেয়ে বয়সে আট বছরের বড়ো কিন্তু বন্ধুসম তপনের ছোটোমাসির সঙ্গে নতুন মেসোর বিয়ে হয়।
7.‘অনেক বই ছাপা হয়েছে'—কার অনেক বই ছাপা হয়েছে?
উত্তর: তপনের সদ্যবিবাহিত ছোটোমাসির বর অর্থাৎ তপনের ‘নতুন মেসোমশাই’-এর লেখা অনেক বই ইতিমধ্যেই ছাপা হয়েছে।
8.‘তাই জানতো না।'- -কে কী জানত না?
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন জানত না যে, লেখকরা ‘জলজ্যান্ত’ মানুষের মতোই হয়। বিয়েবাড়িতে নতুন মাসির লেখক বরকে দেখে তার সেই ভ্রান্তি দূর হয়।
9.‘এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।'—কোন্ বিষয়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ইতিপূর্বে তপন কোনো লেখককে সামনাসামনি দেখেনি; ফলে লেখক মেসোমশাই তার বাবা-ছোটোমামা-মেজোকাকুর মতোই একেবারে সাধারণ, আটপৌরে মানুষ হবে কিনা সে বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
10. কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়?
উত্তর: মামাবাড়িতে সদ্য বিয়ে হওয়া নতুন লেখকমেসোকে রক্তমাংসে গড়া সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় ৷
11.‘একেবারে নিছক মানুষ!'—কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : উদ্ধৃতাংশে তপনের ছোটোমাসির সদ্যবিবাহিত স্বামী অর্থাৎ তপনের নতুন মেসোমশাই-এ -এর কথা বলা হয়েছে।
12.কী উপলক্ষ্যে তপন মামাবাড়িতে এসেছে?
উত্তর গ্রীষ্মের ছুটির অবকাশে ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে তপন মামাবাড়িতে এসেছে।
13. নতুন মেসো কোথায় এসে রয়েছেন?
উত্তর: গ্রীষ্মের ছুটির অবসরে কলেজের প্রফেসার তপনের নতুন মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন।
14. মামাবাড়িতে অহরহ কাকে দেখার সুযোগ ঘটেছে তপনের?
উত্তর : তপনের নতুন মেসোমশাই যিনি একজন লেখক, তাকে অহরহ দেখার সুযোগ ঘটেছে তপনের।
15. ‘আর সেই সুযোগেই দেখতে পাচ্ছে তপন'—তপন কী দেখতে পাচ্ছিল?
উত্তর: তপন দেখতে পাচ্ছিল, লেখকরা কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, তারা তপনদের মতো রক্তমাংসে গড়া মানুষ।
16.তপনের কী হতে বাধা নেই?
উত্তর: তপনের লেখক হতে বাধা নেই।
17.লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসোর পেশা কী?
উত্তর: লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসো কলেজের একজন প্রফেসার।
18. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”—কোন্ দিকে?
উত্তর: তপনের ছোটোমেসো কলেজের প্রফেসার। গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি যখন দুপুরবেলা দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন, তখন তপনের প্রথম লেখা গল্প নিয়ে তাকে দেখানোর জন্য মাসি নিদ্রাচ্ছন্ন মেসোর দিকে ধাবিত হয়।
19.তপনের লেখা গল্পটি কার হাতে চলে গিয়েছিল?
উত্তর: সদ্য লেখা তপনের গল্পটি ছোটোমাসির মাধ্যমে নতুন মেসোর হাতে চলে গিয়েছিল।
20.ছোটোমাসির হইচইতে তপন কেন পুলকিত হয়?
উত্তর ছোটোমাসি হইচই করে মেসোর ঘুম ভাঙিয়ে তপনের গল্পটি পড়তে দিলে লেখক মেসো গল্পটির যথার্থ বিচার করবেন ভেবে তপন উত্তেজনায় পুলকিত হয়।
21.রত্নের মূল্য কার কাছে?
উত্তর: রত্নের মূল্য জহুরির কাছে। তবে আলোচ্য গল্পে তপনের গল্প হল রত্ন আর জহুরি হলেন লেখক ছোটোমেসো।
22.“একটু কারেকশান’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপতে দেওয়া চলে”—কে, কী ছাপানোর কথা বলেছেন?(মাধ্যমিক, ২০১৮)
উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে বর্ণিত তপনের ছোটোমেসো তপনের ভরতি হওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা গল্পটি ছাপানোর কথা বলেছেন।
23.‘কারেকশান’ শব্দটির বাংলা অর্থ কী?
উত্তর: বিদেশি (ইংরেজি) শব্দ ‘কারেকশান’-এর অর্থ হল ‘সংশোধন’।
24.মেসোর মুখে করুণার ছাপ দেখে তপনের কী অভিব্যক্তি হয় ?
উত্তর: তপনের লেখা গল্পটি পড়ে তার লেখক মেসো প্রশংসা করলে তপন প্রথমে ভাবে মেসো ঠাট্টা করছে। কিন্তু পরে মেসোর মুখের করুণার ছাপ দেখে তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়।
25.কোন্টিকে মেসোর ‘উপযুক্ত কাজ’ বলে ছোটোমাসি মনে করে?
উত্তর: তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়া নতুন মেসোর ‘উপযুক্ত’ কাজ হবে বলে তপনের ছোটোমাসি মনে করে।
26.‘সন্ধ্যাতারা’-র কোন্ ব্যক্তি নতুন মেসোর কথা ফেলবেন না?
উত্তর: সাহিত্য পত্রিকা ‘সন্ধ্যাতারা’-র সম্পাদক মহাশয় নতুন মেসোর সঙ্গে বিশেষ হৃদ্যতার জন্য তার কথা ফেলতে পারবেন না।
27.নতুন মেসো তপনকে কী আশ্বাস দিয়েছিলেন?
উত্তর: নতুন মেসো তপনকে তার গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
28. তপনের গল্প লেখার বিষয়টিতে চায়ের টেবিলে বসা ব্যক্তিদের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ তপনের গল্প লেখার বিষয়টি চায়ের টেবিলে প্রকাশ্যে এলে সমবেত সকলেই উপহাস করে কিন্তু নতুন মেসো তপনের লেখার প্রশংসা করেন।
29.'এইসব মালমশলা নিয়ে বসে।'-কীসের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ তপনের সমবয়সি ছেলেমেয়েরা রাহাজানি, খুনজখম অ্যাকসিডেন্ট অথবা অনাহারে মরে যাওয়ার মতো বিষয় নিয়ে গল্প লেখে। এই বিষয়গুলিকেই ‘মালমশলা' বলা হয়েছে।
30.তপন কী বিষয় নিয়ে তার প্রথম গল্প লিখেছে?
উত্তর: নিজের ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি নিয়েই তপন তার প্রথম গল্প 'প্রথম দিন' লিখেছে।
31.তপন কেন বসে বসে দিন গুনছিল ?
উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় নতুন মেসো তপনের গল্প ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়ে গ্রীষ্মের ছুটির পর গল্পটি নিয়ে চলে যান। তাই তপন গল্প প্রকাশের অপেক্ষায় দিন গুনছিল।
32.কোন জিনিসটা সম্পর্কে তপনের আর জানতে বাকি নেই?
উত্তরঃ ছোটোবেলা থেকে রাশি রাশি গল্প শোনায় এবং প্রচুর গল্প পড়ায় তপনের কাছে গল্প জিনিসটা কী তা আর জানতে বাকি নেই।
33. তপন কী কী নিয়ে কখন তিনতলার সিঁড়িতে উঠেছিল?
উত্তরঃ হোমটাস্কের খাতা আর কলম নিয়ে গ্রীষ্মের স্তব্ধ দুপুরে সবাই যখন ঘুমোচ্ছিল তখন তপন তিনতলার সিঁড়িতে উঠেছিল।
34.একাসনে বসে তপন কী কাজ করেছিল?
উত্তরঃ নিস্তব্ধ গ্রীষ্মের দুপুরে তিনতলার সিঁড়ির নিরিবিলিতে তপন একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প শেষ করেছিল।
35.কেন তপন হঠাৎ একটা ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করেছিল?
উত্তর: গ্রীষ্মের নিস্তব্ধ দুপুরে তিনতলার সিঁড়ির নিরিবিলিতে একাসনে একটা আস্ত গল্প শেষ করে তপন। সেটা পড়ার পরে নতুন সৃষ্টির আনন্দে তপন ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করে।
36.“তাই এই ভয়ানক আনন্দের খবরটা ছোটোমাসিকে সর্বাগ্রে দিয়ে বসে।”—আনন্দের খবরটা কী?
উত্তর: গ্রীষ্মের ছুটিতে মামাবাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে একাসনে বসে নিজের হোমটাস্কের খাতায় তপন সম্পূর্ণ একটা গল্প লিখে ফেলেছিল। এই আনন্দের খবরটাই সে ছোটোমাসিকে সর্বাগ্রে দিয়েছিল।
37. তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি কী বলেছিল? (মাধ্যমিক, ২০১৭)
উত্তরঃ তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি তপনের পিঠ চাপড়িয়ে প্রশংসার সুরে বলে তপনের গল্প ভালো হয়েছে এবং একইসঙ্গে প্রশ্ন করে সে অন্য কোনো গল্প থেকে নকল করেছে কি না।
38.ছোটোমাসির কথা শুনে তপনের প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোটোমাসি অন্য কোনো গল্প নকল করার কথা বললে তপন স্বাভাবিক প্রতিবাদ করে বলেছিল “আঃ ছোটোমাসি, ভালো হবে না বলছি!”
39.কীসের জন্য তপন হাঁ করে বসেছিল?
উত্তর: তপন তার লেখা গল্পের পত্রিকায় প্রকাশিত মুদ্রিত রূপটি দেখার জন্য হাঁ করে বসেছিল।
40. এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে,'—বাড়িতে তপনের নাম কী হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: বাড়ির প্রায় সব বড়োরা তপনের গল্প লেখা ও গল্প ছাপানোর ঘটনায় বিদ্রুপ করে তপনকে কথাশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক–ইত্যাদি বলে ডাকতে শুরু করেছিল।
41.কোন নেশায় তপন আক্রান্ত হয়েছিল?
উত্তরঃ লেখক নতুন মেসোর উৎসাহ পেয়ে বাড়ির লোকের যাবতীয় ব্যঙ্গবিদ্রুপ উপেক্ষা করে তপন গল্প লেখার নেশায় আক্রান্ত হয়েছিল।
42.ছোটোমাসি আর মেসো কোন পত্রিকা সংখ্যা নিয়ে বেড়াতে এসেছিল?
উত্তরঃ ছোটোমাসি আর নতুন মেসো তপনদের বাড়িতে সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার একটি সংখ্যা হাতে বেড়াতে এসেছিল, যে পত্রিকায় শ্রী তপনকুমার রায়ের গল্প প্রকাশিত হয়েছিল।
43.বুকের রক্ত কেন ছলকে ওঠে তপনের?
উত্তরঃ তার জীবনের প্রথম গল্প ছাপার অক্ষরে অবশেষে তপন দেখবে। সেই উত্তেজনায় তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল।
44. কিন্তু তাই কী সম্ভব?"-- কী সম্ভব?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প অবশেষে ছাপার অক্ষরে যে সত্যই বেরোবে, তপন তা বিশ্বাস করতে পারছিল না—তাই ঘটনাটি অসম্ভব মনে হয়েছিল তার।
45.সূচিপত্রেও নাম রয়েছে”-সূচিপত্রে কী লেখা ছিল? (মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তর: ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সূচিপত্রে ছাপার অক্ষরে লেখা ছিল ‘প্রথম দিন’ (গল্প) ‘শ্রী তপনকুমার রায়'।
46. সারাবাড়িতে কেন শোরগোল পড়ে যায় ?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে বেরিয়েছে, খবরে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।
47.“ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে।”—কথাটি কী ছিল?
উত্তরঃ তপনের লেখা অপরিণত গল্প ‘কারেকশান' করে ছাপানোর ব্যবস্থা করেছিলেন নতুন মেসো। মেসোর সেই কৃতিত্বের কথাটি ক্রমশ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
48. আত্মপ্রসাদের প্রসন্নতা নিয়ে ছোটোমাসি আর মেসো কী খাচ্ছিলেন?
উত্তরঃ তপনের কাঁচা হাতের লেখা গল্প প্রকাশের অনুচ্চারিত কৃতিত্ব নিয়ে মাসি ডিমভাজা আর চা এবং মেসো শুধু কফি খাচ্ছিলেন।
49.‘সন্ধ্যাতারা'র সম্পাদকের কোন আঙুল দিয়ে তপনের গল্প ছোঁয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘সন্ধ্যাতারা'র সম্পাদকের তপনের গল্প কড়ে আঙুল দিয়ে ছোঁয়ার কথা বলা হয়েছে।
50.“গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আহ্লাদিত হতে না পারার কারণ কী? (পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় তার লেখা গল্প ছাপিয়ে নিয়ে এলে, বাড়ির সবাই তপনের গল্পের প্রশংসা না করে ছোটোমেসোকেই কৃতিত্ব দিতে থাকে। বাড়ির লোকের থেকে শোনা অপ্রত্যাশিত নেতিবাচক কথার ভিড়ে তপন হারিয়ে যায়। তাই যেন সে গল্প ছাপার আনন্দে আহ্লাদিত হতে পারে না।
51.“বাবা, তোর পেটে পেটে এত!” -কোন প্রকার বাক্য?
উত্তরঃ ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের উদ্ধৃত বাক্যটি একটি বিস্ময়বোধক বাক্য।
52.তপনের লেখা গল্পটির কতখানি 'কারেকশান' করেন নতুন মেসো?
উত্তরঃ গল্পের নাম ‘প্রথম দিন’ এবং তার লেখক ‘শ্রী তপনকুমার রায়’ ছাড়া প্রায় পুরোটাই সংশোধন করে বদলে দিয়েছিলেন মেসো।
53. কী বিষয় নিয়ে তপনের বাড়িতে ‘ধন্যি ধন্যি' পড়ে?
উত্তরঃ নানা সমালোচনা এবং ঠাট্টাব্যঙ্গ সত্ত্বেও তপনের ছাপানো গল্প নিয়ে বাড়িতে ‘ধন্যি ধন্যি’ রব ওঠে।
54.ছাতে উঠে গিয়ে তপন কী করে?
উত্তরঃ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপানো গল্পে নিজের লেখা খুঁজে না পেয়ে, তপন লজ্জায়, অপমানে, দুঃখে ছাতে গিয়ে জামার তলা দিয়ে চোখের জল মোছে।
55. ‘আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।'—বক্তার কোন দিনটি সবচেয়ে দুঃখের ?
উত্তরঃ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশের বক্তা তপনের মনে হয়েছিল যেদিন তার ছোটোমাসি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত তার লেখা গল্প নিয়ে তাদের বাড়িতে এসেছিল, সেইদিনটিই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
56. দুঃখের মুহূর্তে তপনের সংকল্প কী ছিল?
উত্তরঃ সমালোচনায় ও দুঃখে তপন সংকল্প করেছিল, যদি কখনও গল্প ছাপতে দেয় তো সে নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে। তাতে সে গল্প ছাপা হোক, আর না হোক।