দশম শ্রেণীর বাংলা বহুরূপী গল্পের ছোট প্রশ্নোত্তর

বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2022 বহুরূপী গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর বহুরূপী গল্পের বিষয়বস্তু বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর 2023 বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্ত
Estimated read time: 10 min
1.‘হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম,’—‘হরিদা’ কে?
উত্তরঃ কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা। তিনি খুবই গরিব মানুষ। পেশাগত দিক থেকে তিনি একজন বহুরূপী।
2. ‘আমরাই গল্প করে বললাম?’—‘আমরাই’ বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে? 
উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃত অংশে ‘আমরাই’ বলতে কাহিনিকথক ও তার সঙ্গী ভবতোষ, অনাদি প্রমুখের কথা বোঝানো হয়েছে।
3. কাহিনিকথক ও তার বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন্ ঘটনা শোনাতে এসেছিলেন?
উত্তর: শহরের ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুর বাড়িতে হিমালয়ের গুহানিবাসী এক উঁচু দরের সন্ন্যাসী এসে সাত দিন ছিলেন—এই খবরটাই কাহিনিকথক ও তার বন্ধুরা হরিদাকে শোনাতে এসেছিলেন। 
4. সন্ন্যাসী কার বাড়ি এসেছিলেন? তার সম্পর্কে গল্পে কী জানা যায়?
উত্তর: সন্ন্যাসী শহরের সম্পন্ন ব্যক্তি জগদীশবাবুর বাড়ি এসেছিলেন। হাজার বছরেরও বেশি বয়সি সন্ন্যাসী হিমালয়বাসী এবং অতি মিতাহারী। বছরে একটিমাত্র হরীতকী খান এবং কাউকে তাঁর পায়ের ধুলো নিতে দেন না।
5.“সাতদিন হল এক সন্ন্যাসী এসে জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন।”—সন্ন্যাসীর বয়স সম্পর্কে মানুষের ধারণা কী? 
উত্তর: সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পে বর্ণিত বিত্তবান জগদীশবাবুর বাড়িতে খুব উঁচু দরের এক সন্ন্যাসী সাত দিন আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনেকের মতে তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি।
6.‘আক্ষেপ করেন হরিদা'—হরিদার আক্ষেপের কারণ কী ?
উত্তর: প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্পে বর্ণিত জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর মাহাত্ম্য শুনে হরিদা তার পায়ের ধুলো নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সন্ন্যাসী বিদায় নেওয়ায় তার ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই তিনি আক্ষেপ করেছেন।
7.কীভাবে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো পেয়েছিলেন? 
উত্তরঃ জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর জন্য একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তা সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলে সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে তার পা বাড়িয়ে দেন, সেই সুযোগে জগদীশবাবু তার পায়ের ধুলো নেন।
8.“সন্ন্যাসী হাসলেন আর চলে গেলেন।”—সন্ন্যাসীর হাসির কারণ কী?
উত্তর: সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় তার ঝোলার ভিতরে জগদীশবাবু জোর করে একশো টাকার একটা নোট ফেলে দেওয়ার জন্য সন্ন্যাসী যেন প্রসন্নতার হাসি হেসেছিলেন।
9.“গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।”—গম্ভীর হয়ে গিয়ে হরিদা কী করলেন?
উত্তরঃ সমাজমনস্ক কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা গম্ভীর হয়ে গিয়ে আড্ডার সঙ্গীসাথিদের কথায় কর্ণপাত না করে অনেকক্ষণ চুপ করে রইলেন।
উত্তরঃ শহরের সবচেয়ে সরু একটা গলির ভিতর ছোটো একটা ঘরে হরিদা থাকতেন।
11.‘সেটাই যে হরিদার জীবনের পেশা।'—হরিদার জীবনের পেশাটি কী?
উত্তরঃ বহুরূপী সেজে রোজগার করাই হল হরিদার জীবনের পেশা।
12.“মাঝে মাঝে সত্যিই উপোস করেন হরিদা।”—হরিদা মাঝে মাঝে উপোস করেন কেন?
উত্তরঃ হরিদার জীবনের একমাত্র পেশা বহুরূপী সেজে রোজগার করা। সামান্য রোজগারে সারা সপ্তাহের অন্নসংস্থান সম্ভব হয় না। তাই হরিদা মাঝে মাঝে সত্যিই উপোস করে দিন কাটাতে বাধ্য হন।
13.‘একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল।'—কোথায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল?
উত্তরঃ চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে একদিন ঠিক দুপুরবেলায় একটা উন্মাদ পাগলের আচরণে আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল।
14.“চেঁচিয়ে উঠছে যাত্রীরা, দুটো একটা পয়সা ফেলেও দিচ্ছে।”— যাত্রীদের এরূপ আচরণের কারণ কী ?
উত্তরঃ একটা উন্মাদ পাগল একটা থান ইট হাতে তুলে নিয়ে বাসের উপরে বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। তাই বাসযাত্রীরা আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠছিল। তাকে শান্ত করার জন্য তারা দুটো-একটা পয়সাও ফেলে দিচ্ছিল।
15. “একটু পরেই বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমক দেয়।” বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ কাকে ধমক দেয়? 
উত্তরঃ বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ পাগলের সাজে সজ্জিত বহুরূপী হরিকে ধমক দেয় এবং অন্যদিকে যাওয়ার কথা বলে।
16.‘বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমক দেয়।'—বাসের ড্রাইভার কাশীনাথের ধমকে বাসযাত্রীদের কী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়?
উত্তরঃ বাসের ড্রাইভার কাশীনাথের ধমকে পাগলের সাজে বহুরূপী হরিদার প্রকৃত পরিচয় জানতে পেরে বাসযাত্রীদের মধ্যে কেউ হাসে, কেউবা বিরক্ত হয়, কেউ বিস্মিত হয়ে হরিদার চমৎকার পাগল সাজার প্রশংসা করতে থাকে।
17.“হরিদার জীবন এইরকম বহুরূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে”—কীরকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে? (মাধ্যমিক, ২০১৮) অথবা, “এই শহরের জীবনে মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার ঘটনা সৃষ্টি করেন বহুরূপী হরিদা।”—‘বহুরূপী’ গল্প থেকে হরিদার কয়েকটি বহুরূপী রূপের উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বহুরূপী হরিদার জীবন কখনও উন্মাদ, কখনও রূপসি বাইজি, কখনও পুলিশ অথবা কাপালিক, বুড়ো কাবুলিওয়ালা, ফিরিঙ্গি কেরামিন সাহেব, পুলিশ, সন্ন্যাসী বিরাগী প্রভৃতি বিভিন্ন রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে।
18. শহরে যারা নতুন এসেছে, তারা দুই চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে।'—তারা দুই চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে কেন?
উত্তরঃ সন্ধেবেলা শহরের পথের উপর দিয়ে ঘুঙুরের মিষ্টি সুর তুলে এক রূপসি বাইজি প্রায় নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছিল। তাই দেখে শহরে আসা নবাগতরা বিস্ময়ে দুই চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে।
19.‘দোকানদার হেসে ফেলে— হরির কাণ্ড।”—হরির কোন্ কাণ্ড দেখে দোকানদাররা হেসে ফেলে ? 
উত্তরঃ কোনো এক সন্ধ্যায় শহরের পথে বহুরূপী হরিদার বাইজি সেজে ঘুঙুরের মিষ্টি রুমঝুম সুর তুলে নাচতে নাচতে চলে যাওয়ার কাণ্ড দেখে দোকানদার হেসে ফেলে।
20.“বাইজির ছদ্মবেশে সেদিন হরিদার রোজগার মন্দ হয়নি।”— সেদিন হরিদার রোজগার কত হয়েছিল?
উত্তর: বহুরূপী হরিদা সেদিন শহরের আলোকোজ্জ্বল সন্ধেবেলায়, বাইজির ছদ্মবেশে মানুষের মন জয় করে মোট আট টাকা দশ আনা রোজগার করেছিলেন।
21. ‘ভয়ে কেঁদে ফেলেছিল ছেলেগুলো;'—ছেলেগুলো ভয়ে কেন কেঁদে ফেলেছিল?
উত্তর: দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতর নকল পুলিশ সেজে হরিদা দাঁড়িয়েছিলেন। তার হাতে স্কুলের চারটি ছেলে ধরা পড়ে ভয়ে কেঁদে ফেলেছিল।
22.‘স্কুলের মাস্টার এসে সেই নকল পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন’—কীভাবে মাস্টারের অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন নকল পুলিশ?
উত্তর: আট আনা ঘুষ নিয়ে মাস্টারমশাই-এর অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন নকল পুলিশ বহুরূপী হরিদা।
23. মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন যে হরিদা পুলিশ সেজেছিল তখন কী করেছিলেন?
উত্তর: মাস্টারমশাই যখন জানতে পারলেন, যে পুলিশকে তিনি আট আনা ঘুষ দিয়েছেন তিনি আদতে পুলিশ নন, হরি বহুরূপী; তখন তিনি একটুও রাগ করেননি বরং হরিদার বহুরূপী সাজের তারিফ করেছিলেন।
24.‘আজ তোমাদের একটা জবর খেলা দেখাব।'—বক্তা কোথায় জবর খেলা দেখাবেন?
উত্তরঃ বক্তা বহুরূপী হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে কাহিনিকথক ও তার সঙ্গীদের সামনে একটি জবর খেলা দেখাবেন।
25.‘মোটা মতন কিছু আদায় করে নেব।'—বক্তা কার কাছ থেকে মোটা মতন কিছু আদায় করতে চান?
উত্তর: বক্তা বহুরূপী হরিদা বিত্তবান জগদীশবাবুকে একটি জবর খেলা দেখিয়ে তার কাছ থেকে মোটা মতন কিছু অর্থাৎ প্রচুর অর্থ আদায় করতে চান।
26.“সপ্তাহে বড়োজোর একটা দিন বহুরূপী সেজে পথে বের হন হরিদা”—বহুরূপী কাকে বলে? (মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তরঃ যে লৌকিক শিল্পধারায় কোনো শিল্পী অপর কোনো ব্যক্তি, দেবদেবী, পশু ইত্যাদির বেশে সেজে অর্থ উপার্জন করেন, তাকে বহুরূপী বলে।
27. ‘এবার আর কাঙালের মতো হাত পেতে বকশিশ নেওয়া নয়।'—বক্তা কাঙালের মতো হাত পেতে বকশিশ না নিয়ে কী করতে চান?
উত্তর: বক্তা বহুরূপী হরিদা কাঙালের মতো হাত পেতে বকশিশ নিতে চান না। এবার তার লক্ষ্য হাতি মারার মতো বড়ো শিকার করা বা ভাণ্ডার লুণ্ঠনের মতো প্রচুর সম্পদ লাভ করা।
28.‘একবারেই যা ঝেলে নেব তাতে আমার সারা বছর চলে যাবে।'—বক্তার কীভাবে সারাবছর চলে যাবে? 
উত্তর: বক্তা বহুরূপী হরিদা মনে করেন, ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুকে জবর খেলা দেখিয়ে তিনি একবারেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করবেন, আর তাতেই তার সারাবছর চলে যাবে।
29.“বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা। সন্ধ্যার চেহারাকে চমৎকার মনে হয়েছে কেন?
উত্তর: শহরের গায়ে স্নিগ্ধ ও শান্ত চাঁদের আলো পড়ছে এবং ফুরফুরে বাতাস বইছে। তাই বক্তা অর্থাৎ কাহিনিকথকের মনে হয়েছে সেদিনের সন্ধ্যার চেহারা চমৎকার।
30.জগদীশবাবুকে দেখতে কেমন?
উত্তরঃ জগদীশবাবু সৌম্য, শান্ত ও জ্ঞানী। তার মাথার চুল ও দাড়ি ছিল সাদা।
31.বন্ধুদের নিয়ে লেখক জগদীশবাবুর বাড়িতে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন?
উত্তর: বন্ধুদের নিয়ে গল্পকথক স্পোর্টের চাঁদা আদায় করার জন্য জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন। তার হাতে চাঁদার খাতা তুলে দিয়ে তারা দাঁড়িয়েছিলেন।
32.“চমকে উঠলেন জগদীশবাবু।”—জগদীশবাবু চমকে উঠেছিলেন কেন?
উত্তরঃ বারান্দার সিঁড়িতে একটি ধবধবে সাদা উত্তরীয় দিয়ে আদুড় গা আবৃত করা, ছোটো বহরের সাদা থান পরিহিত, শুভ্রকেশ এক আগন্তুককে দেখে জগদীশবাবু চমকে উঠেছিলেন।
33. “জটাজুটধারী কোনো সন্ন্যাসী নয়।”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সন্ন্যাসী না বলার কারণ কী?
উত্তরঃ আগন্তুককে সন্ন্যাসী না বলার কারণ হল, তার হাতে সন্ন্যাসীদের ব্যবহৃত কমণ্ডলু ও চিমটে ছিল না। তার সঙ্গে বসার জন্য মৃগচর্মের আসনও ছিল না। তিনি গৈরিক সাজেও সজ্জিত ছিলেন না। জটাজুটের পরিবর্তে তার মাথায় ছিল স্বাভাবিক শুভ্র চুল এবং আদুড় গা সাদা উত্তরীয় দ্বারা আবৃত ছিল।
34. “গীতা বের করে কী-যেন দেখলেন এই আগন্তুক।”—গীতা কী ?
উত্তরঃ গীতা হিন্দুদের পবিত্র শাস্ত্র। ভগবদ্‌গীতা হল বেদের সার এবং গীতা স্বয়ং ভগবানের মুখনিঃসৃত উপদেশ বাণী।
35. 'আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?'—বক্তা এ কথা কাকে বলেছিলেন? (মাধ্যমিক, ২০২০)
উত্তরঃ এগারো লক্ষ টাকার সম্পত্তির অহংকারে গর্বিত জগদীশবাবু নীচে নেমে এসে বিরাগীকে অভ্যর্থনা না জানানোর জন্য বক্তা হরিদা জগদীশবাবুর উদ্দেশে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
36.‘আপনি একথা কেন বলছেন মহারাজ?'—এ কথায় উদ্দিষ্ট ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল?
উত্তরঃ জগদীশবাবুর এই প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় বিরাগী ছদ্মবেশী বহুরূপী হরিদা জানিয়েছিলেন যে, তিনি মহারাজ নন, তিনি এই সৃষ্টির মধ্যে এককণা ধূলি।
37.আপনি রাগ করবেন না। - কে, কাকে এ কথা বলেছেন?
উত্তরঃ শহরের ধনী বৃদ্ধ জগদীশবাবু বিরাগীরূপী হরিদার উদ্দেশে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছে।
38. 'ছিল একদিন, সেটা পূর্বজন্মের কথা।'—বক্তা ‘ছিল একদিন' বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: আগন্তুক বিরাগী জানান পূর্বজন্মে অর্থাৎ সাধকের পরম জ্ঞানলাভের পূর্ববর্তী জীবনে তার রাগ অর্থাৎ ক্রোধ ছিল। কিন্তু রাগ নামে কোনো রিপু বর্তমানে নেই। এখন তার পরিচয় একজন বিরাগী।
39.“ঠান্ডা জল খেয়ে নিয়ে হাঁপ ছাড়েন বিরাগী।”—বিরাগী ঠান্ডা জল খেলেন কেন?
উত্তরঃ সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবু বিরাগীর সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই ইচ্ছা পূরণ করার জন্য বিরাগী কেবল ঠান্ডা জল পান করেছিলেন।
40.“হতেই পারে না।”—বক্তা কী হতে পারে না বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: বিরাগী সন্ন্যাসীবেশে আগত ব্যক্তিটি কখনোই গল্পকথকদের পরিচিত হরিদা হতে পারেন না বলে বক্তা ভবতোষ মনে করেছেন।
41. ‘পরম সুখ কাকে বলে জানেন?'— বক্তা স্বয়ং পরম সুখ বলতে কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: বক্তা বিরাগী সব সুখের মোহবন্ধন থেকে মুক্ত হওয়াকেই পরম সুখ বলে বুঝিয়েছেন।
42.“জগদীশবাবু ততক্ষণে সিঁড়ির উপরে বসে পড়েছেন।” জগদীশবাবুর সিঁড়ির উপরে বসে পড়ার কারণ কী?
উত্তরঃ ‘বহুরূপী’ গল্পে ধর্মভীরু জগদীশবাবু আগন্তুক বিরাগীকে প্রণাম করার জন্য সিঁড়ির উপরে বসে পড়েছিলেন।
43.‘আমার এখানে কয়েকটা দিন থাকুন বিরাগীজি।' —বক্তার বাড়িতে উর্দিষ্ট ব্যক্তির থাকতে অস্বীকার করার কারণ কী?
উত্তর: বিষয়-আশয়ে আসক্তিহীন উদ্দিষ্ট বিরাগীজি বাইরের খোলা আকাশের নীচে ধরিত্রীর মাটির বিশালতায় স্থান পেয়েছেন। তাই জগদীশবাবুর মতো বিষয়ীর দালানবাড়ির ঘরে তিনি থাকতে অস্বীকার করেছেন।
44.‘এটা আমার প্রাণের অনুরোধ।'—বক্তা কোন্ অনুরোধকে প্রাণের অনুরোধ বলেছেন?
উত্তৱ: বক্তা জগদীশবাবু নিজের বাড়িতে আগন্তুক বিরাগীজিকে কয়েকটা দিন থেকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাকেই তিনি তার প্রাণের অনুরোধ বলেছেন।
45.‘তিনি আপনার চেয়ে কিছু কম নয়।'—তিনি উদ্দিষ্ট ব্যক্তির চেয়ে কম নয় কেন?
উত্তর: ‘তিনি’ অর্থাৎ পরম করুণাময় ঈশ্বরকে লাভ করতে পারলে এই সৃষ্টির সব ঐশ্বর্য প্রাপ্ত হওয়া যায়। তাই তিনি বিষয়ী জগদীশবাবুর চেয়ে কম নন। তিনিই শ্রেষ্ঠ বা পরম।
46.‘তবে কিছু উপদেশ শুনিয়ে যান বিরাগীজি।'—বক্তা বিরাগীজির উপদেশ চেয়েছেন কেন?
উত্তর: সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের ধর্মভীরু জগদীশবাবু মনের শান্তি লাভের আশায় বিরাগীজির কাছ থেকে কিছু উপদেশ চেয়েছিলেন।
47. নইলে আমি শান্তি পাব না।'—বক্তা কী না হলে শান্তি পাবেন না?
উত্তর: ‘আমি’ বলতে 'বহুরূপী' গল্পের ধর্মভীরু বিত্তবান জগদীশবাবুকে বোঝানো হয়েছে। তার বাড়িতে আগত বিরাগীজির কাছ থেকে তিনি কিছু উপদেশ শুনতে চান। কারণ সেই উপদেশ না পেলে তিনি শান্তি পাবেন না।
48.‘ধন জন যৌবন কিছুই নয় জগদীশবাবু।' —বক্তা ধন-জনযৌবনকে কিছুই নয় বলেছেন কেন?
উত্তরঃ সকল ঐশ্বর্যের রূপকার ঈশ্বরকেই বিরাগী বেশধারী বহুরূপী হরিদা একমাত্র সত্য বলে স্বীকার করেছেন। তাই পার্থিব ধন-জন-যৌবনকে তিনি সুন্দর এক-একটি বঞ্চনা ছাড়া কিছু বলে মানতে চাননি। 
49.“জগদীশবাবুর হাতে একটা থলি।”—থলির ভিতরে কী ছিল?
উত্তর: জগদীশবাবুর হাতের থলির ভিতরে রাখা ছিল একশো এক টাকার নোটের তাড়া।
50.জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য কত টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন? (মাধ্যমিক, ২০১৭) 
উত্তর: জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো এক টাকা দিয়েছিলেন।
51.“বলতে বলতে সিঁড়ি থেকে নেমে গেলেন বিরাগী।”—যে কথা বলতে বলতে সিঁড়ি থেকে নেমে গেলেন বিরাগীজি, তা উদ্ধৃত করো।
উত্তর: বিরাগীজি যে কথা বলতে বলতে সিঁড়ি থেকে নেমে গেলেন তা হল—“আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি, তেমনই অনায়াসে সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি।”
52.“হরিদা, আপনি তাহলে সত্যিই বের হয়েছিলেন।” –বক্তা কীসের ভিত্তিতে হরিদার সত্যিই বের হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলেন?
উত্তর: জগদীশবাবুর বাড়িতে দেখা আগন্তুক বিরাগীজির সাদা উত্তরীয়, তার ব্যবহৃত ঝোলা এবং গীতা বহুরূপী হরিদার মাদুরের উপর পড়ে থাকতে দেখে বক্তা ভবতোষ নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, হরিদা সত্যিই বেরিয়েছিলেন।
53.“কী অদ্ভুত কথা বললেন হরিদা!”—হরিদার কোন্ কথাকে অদ্ভুত মনে হয়েছিল?
উত্তর: হরিদা জানিয়েছিলেন যে, শত হোক একজন বিরাগী সন্ন্যাসী সেজে টাকা স্পর্শ করলে তার শিল্পগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তার এই কথাকে কাহিনিকথকের অদ্ভুত মনে হয়েছিল।
54.“অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।”হরিদার কোন্ ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে?(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তরঃ শিল্পমর্যাদার স্বার্থে দরিদ্র বহুরূপী হরিদা জগদীশবাবুর অর্থ প্রত্যাখ্যান করে ভুল করেছিলেন বলে কথক মনে করেছেন। সেই ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে।

About the Author

This site was launched on March 1, 2019. Today it is appreciated by millions of students. This site has changed a lot in the last two years and I have tried to do better every time.

Post a Comment

Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.