সূচনা: দিল্লির চৌহান বংশীয় রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহান ও মহম্মদ ঘােরির মধ্যে তরাইনের যুদ্ধ হয়েছিল।
তরাইনের যুদ্ধ ---
প্রথম যুদ্ধ: মহম্মদ ঘােরি ভাতিন্দা অঞ্চল আক্রমণ করলে পৃথ্বীরাজ চৌহান তাকে বাধা দেন। ফলে তরাইনের প্রান্তরে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ বাধে তরাইনের এই প্রথম যুদ্ধে (১১৯১ খ্রি.) পরাজিত হয়ে ঘােরি নিজের রাজ্যে ফিরে যান।
দ্বিতীয় যুদ্ধ: মহম্মদ ঘােরি শক্তি সঞ্চয় করে পরের বছরেই দিল্লি অভিযান চালান। ঘােরি ও পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে শুরু হয় তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ (১১৯২ খ্রি.)। রাজপুতদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে পৃথ্বীরাজ এই যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন।
[1] রাজপুতদের ধ্বংস: তরাইনের প্রথম যুদ্ধে জিতলেও তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে শােচনীয়ভাবে পরাজয়ের ফলে রাজপুত শক্তি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়।
[2] তুর্কি আধিপত্য: তরাইনের যুদ্ধে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করায় পূর্ব পাঞ্জাব ও দিল্লিতে তুর্কি আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
[3] মুসলিম শাসনের সূচনা: যুদ্ধ জয় করে ঘােরি স্বদেশভূমি গজনিতে ফিরে যান। কিন্তু তার সেনাপতি কুতুবউদ্দিন আইবক এদেশে থেকে যান। আইবক দিল্লিতে মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটান।
[4] সামরিক দুর্বলতা প্রকাশ: তুর্কিদের তুলনায় ভারতীয় সেনাদের রণকৌশল যে কতটা নিকৃষ্টমানের ছিল তা তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে ভারতীয়দের পরাজয় থেকে বােঝা যায়।