Madhyamik Bengali Suggestion 2022
জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী)
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) :
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
১. তপনের লেখা গল্প তার মেসোমশাইকে কে দিয়েছিল?
(ক) মা (খ) বড়োমাসি (গ) ছোটোমাসি (ঘ) বাবা
উত্তরঃ (গ) ছোটোমাসি
২. কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেলের মতন হয়ে গেল?
(ক) দিদি (খ) নতুন মেসোমশাই (গ) বাবা (ঘ)
নতুন পিসেমশাই
উত্তরঃ (খ) নতুন মেসোমশাই
৩. নতুন মেলোমশাই ছিলেন একজন
(ক) লেখক (খ) গায়ক (গ) শিক্ষক (ঘ)
কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) লেখক
৪. “ছোটোমাসি সেই দিকেই ধাবিত হয়।”ছোটোমাসি ধাবিত হয়—
(ক) ছোটোমেসোর দিকে (খ) রান্নাঘরের দিকে
(গ) তপনের দিকে (ঘ) ছাদের দিকে
৫. তপনের কোন্ মেসোমশাই বই লেখেন?
(ক) বড়ো মেসোমশাই (খ) ছোটো মেসোমশাই (গ)
মেজো মেসোমশাই (ঘ) সেজো মেসোমশাই
উত্তরঃ (খ) ছোটো মেসোমশাই
৬. তপনের ছোটোমেসো ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলে মন্তব্য করে কী দেখতে চলে যান?
(ক) তাজমহল (খ) চিড়িয়াখানা (গ) জাদুঘর
(ঘ) সিনেমা
উত্তরঃ (ঘ) সিনেমা
৭. তপনের ছোটোমেসসা কী উপলক্ষ্যে শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন?
(ক) পৈতে (খ) বিয়ে (গ) অন্নপ্রাশন (ঘ)
শ্রাদ্ধ
উত্তরঃ (খ) বিয়ে
৮. তপনের লেখা গল্পটি নিয়ে কে চলে গিয়েছিলেন?
(ক) তপনের মেসোমশাই (খ) তপনের ছোটোমাসি
(গ) তপনের মা (ঘ) তপনের বাবা
উত্তরঃ (গ) তপনের মা
৯. তপন কটা গল্প লিখেছিল?
(ক) একটা (গ) চারটে (ঘ) তিনটে
উত্তরঃ (খ) দুটো
১০. ছোটোমেলোমশাই তপনের গল্প হাতে পেয়ে কী বলেছিলেন?
ক) আর-একটা লেখার কথা (খ) আরও দুটো গল্প দেওয়ার কথা
(গ) এই গল্পটাই একটু কারেকশান করার কথা
(ঘ) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (গ) এই গল্পটাই একটু কারেকশান করার কথা
১১. তপন বিয়েবাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল?
(ক) ব্যাট ও বল (খ) গল্পের বই (গ) গানের
খাতা (ঘ) হোমটাস্কের খাতা
উত্তরঃ (ঘ) হোমটাস্কের খাতা
১২. তপন তার গল্পটা লিখেছিল—
(ক) দুপুরবেলা (খ) সন্ধ্যেবেলা (গ)
বিকেলবেলা (ঘ) গভীর রাতে
উত্তরঃ (ক) দুপুরবেলা
১৩. কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপা হয়েছিল?
(ক) ধ্রুবতারা (খ) ভারতী (গ) সাহিত্যচর্চা
(ঘ) সন্ধ্যাতারা
উত্তরঃ (ঘ) সন্ধ্যাতারা
১৪. তপনের লেখা গল্পটার নাম কি ছিল—
(ক) ছুটি (খ) অবসর (গ) প্রথম দিন (ঘ)
কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (গ) প্রথম দিন
১৫. সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ
(ক) তপনের ছেটোমাসির বিয়ে (খ) তপনের গল্প
পত্রিকায় ছাপা হয়েছে (গ) তপন পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে (ঘ) সবগুলি সঠিক
উত্তরঃ (খ) তপনের গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)
১. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের”—কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?
উত্তরঃ একজন লেখকও যে সাধারণ মানুষের মতো হতে পারে, তাদের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে সেই বিষয়ে তপনের
সন্দেহ ছিল।
২. “অনেক বই ছাপা হয়েছে”—কার অনেক বই ছাপা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো, যিনি আসলে লেখক, তাঁরই অনেক বই ছাপা হয়েছে।
৩. “তবে তপনেরই বা লেখক হতে বাধা কী?” তপনের লেখক হতে বাধা ছিল কেন?
অথবা, তপনের লেখক হতে বাধা নেই কেন?
উত্তরঃ তপন মনে করত লেখকরা তার মতো সাধারণ মানুষ নয়, হয়তো তারা অন্য গ্রহের জীব—তাই তার লেখক হতে বাধা ছিল। অথবা, নতুন মেসোকে দেখে তপন বুঝতে পারল তিনি তাদের মতোই মানুষ, আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয়। তাই তপনেরও লেখক হতে কোনো বাধা নেই।
৪. কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল?
উত্তরঃ নতুন মেসো অর্থাৎ ছোটো মেসোমশাইকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল।
৫. তপনের ছোটোমেসো ছোটোমামার মতো কী করেন?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো ছোটোমামার মতো খবরের কাগজের সব কথা নিয়ে প্রবলভাবে
গল্প করেন, তর্ক করেন, ‘এদেশের কিছু হবে না’ বলেন।
৬. তপনের ছোটো মেসোমশাইয়ের পরিচয় কী?
উত্তরঃ তপনের ছোটো মেসোমশাই একজন কলেজের অধ্যাপক। তিনি একজন লেখক, সত্যিকারের লেখক।
৭. তপনের ছোটো মেসোমশাই সুযোগ পেলে কী করতেন?
উত্তরঃ তপনের ছোটো মেসোমশাই সুযোগ পেলে দিবানিদ্রা যেতেন।
৮. “তা হলে বাপু তুমি ওর গল্পটা ছাপিয়ে দিও”—এই কথাটি কে, কাকে বলেছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটোমাসি তার স্বামীকে অর্থাৎ ছোটোমেসোকে এই কথাটি বলেছে।
৯. বিকেলে চায়ের টেবিলে কী কথা ওঠে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের গল্প লেখার ব্যাপারটা বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে।
১০. লেখার প্রকৃত মূল্য কে বুঝবে বলে তপন মনে করেছিল?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমেসো লেখালেখি করতেন। তার অনেকগুলো বই ছিল। তিনি যেহেতু অনেক
বই লিখেছেন, তাই লেখক মানুষ হিসেবে তিনিই লেখার
প্রকৃত মূল্য বুঝবেন বলে তপন মনে করেছিল।
১১. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই
বুঝবে।”—লেখার প্রকৃত মূল্য কেবল নতুন মেসোই
বুঝবে কেন?
উত্তরঃ নতুন মেসো একজন নামকরা লেখক। তাই তিনিই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য
বুঝবেন।
১২. ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় লেখা ছাপা প্রসঙ্গে তপনের মেলোমশাই কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন তপনের মেসোমশাইয়ের পরিচিত তপনের লেখা দেখে মেসোমশাই
বলেছিলেন, তিনি যদি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার সম্পাদককে লেখা ছাপানোর কথা বলেন তাহলে সম্পাদকমশাই না বলতে পারবেন
না।
১৩. গল্প লেখার পর তপনের কী মনে হয়েছিল?
উত্তরঃ একটা গোটা গল্প সে লিখে ফেলেছে এটা ভেবেই তপনের সারা গায়ে কাটা দিয়ে
উঠল, মাথার চুল পর্যন্তখাড়া হয়ে উঠল। সে ভাবল এখন তাকেও লেখক
বলা যায়।
১৪. বিয়ে হয়ে ছোটোমাসি কীরকম হয়ে গেছে?
উত্তরঃ লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা “জ্ঞানচক্ষু
গল্পে তপনের ছোটোমাসি বিয়ে হওয়ার পর একটু মুরুব্বি হয়ে গেছে।
১৫. তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে কী বলেন?
উত্তরঃ তপনের গল্প ছাপা হলে তার মা প্রথমে বলেন, “কই তুই নিজের মুখে একবার পড় তো শুনি! বাবা, তোর পেটে পেটে এত।”
১৬. “মেসো অবশ্য মৃদু মৃদু হাসেন।”- মেসোর হাসির কারণ কী?
উত্তরঃ মেসো জানেন তপনের গল্প তিনি সংশোধন করে নিজে সম্পাদকের হাতে জমা
দিয়েছেন আর তা ছাপানোর কাজে সার্থক হয়েছেন, তাই তিনি মৃদু
মৃদু হাসেন।
১৭. “ক্রমশ ও কথাটা ছড়িয়ে পড়ে।”—কোন কথাটি ছড়িয়ে পড়ে?
১৮. “ছোটোমাসি সেই দিকে ধাবিত হয়।”—ছোটোমাসি কোন দিকে ধাবিত হয়?
উত্তরঃ মেসোমশাই যেখানে দিবানিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোটোমাসি ধাবিত হয়।
১৯. “তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে
পুলকিত হয়।”- তপনের এই পুলকের কারণ কী?
উত্তরঃ তপনের মাসি তপনের লেখা নিয়ে মেসোমশাইয়ের কাছে গিয়ে হইচই করলে সে
পুলকিত হয় কারণ তার লেখার মূল্য একমাত্র মেসোমশাইয়ের পক্ষেই বোঝা সম্ভব।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন
(প্রশ্নমান –
৩)
১. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”— কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
২. “নতুন মেসসাকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”— কীভাবে তপনের নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল?
৩. লেখকদের সম্পর্কে তপনের কী ধারণা ছিল এবং কীভাবে সেই ধারনা পালটে গেল?
৪. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।”—কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৫.“গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের”—তপনের গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল?
৬. “হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন।” তপনের উত্তেজনার কারণ বর্ণনা করো।
৭. তপনের বাড়িতে তার কী নাম কেন প্রচলিত হয়েছিল?
৮. “বুকের রক্ত চলকে ওঠে তপনের।”—প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা লেখো।
৯. তপনের প্রথম গল্পটি বের হওয়ার পর তার বাড়ির লোকের প্রতিক্রিয়া কীরূপ?
১০. তপনের লেখা গল্প সম্পর্কে তার বাবা ও মেজোকাকু কী বলে?
১১. “যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”— ‘আহ্লাদ’ হওয়ার কথা ছিল কেন? ‘আহ্লাদ’ খুঁজে না-পাওয়ার কারণ কী?
১২. তপন গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে দেখালে সে তপনের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করে?
রচনাধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ৫) :
১. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল!”—তপন কে? কথাটা কী ছিল? তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল কেন? ১+১+৩
২. “রত্নের মুল্য জহুরির কাছেই।”— ‘রত্ন’ কে? ‘জহুরি’ কে? কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো। ১+১+৩
৩. জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন কীভাবে
হয়েছে তা বর্ণনা করো।
৪. “লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসোই বুঝবে”— এ কথা কার, কেন মনে হয়েছিল তা আলোচনা করো।
৫. নিথর দুপুরবেলায় তপন কী করেছিল আর তারপর কী ঘটনা ঘটেছিল সংক্ষেপে লেখো।
৬. “লেখার পর যখন পড়ল, গায়ে কাঁটা
দিয়ে উঠল তপনের”। — কোন্ লেখার কথা
এখানে বলা হয়েছে? সেই
লেখা পড়ে তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার কারণ কী? 2+3
৭. “তপন কৃতার্থ হয়ে বসে বসে দিন গোনে।”— কী কারণে তপন দিন গুনছিল? তার দিন গোনার ফল কী হয়েছিল? 2+3
৮. “কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?”—কে, কাকে এই কথাটি বলেছে? কখন বলেছে? কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। ২+১+২
৯. “কীরে তোর যে দেখি পায়া ভারী হয়ে গেল।”—এই কথা কে, কাকে বলেছে? কোন্ প্রসঙ্গে এই কথা বলেছে? কথাটির মর্মার্থ লেখো। ২+১+২
১০. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। ”কার সম্পর্কে এই কথা বলা হয়েছে? কখন এই মন্তব্য করা হয়েছে? তার সেই ভয়ংকর আহ্লাদ খুঁজে না-পাওয়ার
কারণ কী? ১+২+২
১১. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নামকরণের
সার্থকতা বিচার করো।
১২. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের
ভাববস্তু/বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
১৩. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের মধ্যে
সমাজচিত্র বা লেখিকার সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনা করো।
১৪. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের
চরিত্রটি আলোচনা করো।
১৫. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে অপ্রধান
চরিত্রগুলি আলোচনা করো।
১৬. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে দু-বার
জ্ঞানচক্ষু লাভের কথা কীভাবে আছে, আলোচনা করো।
১৭. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটি ছোটোগল্প
হিসেবে কতখানি সার্থক, তা আলোচনা করো।
১৮. “ছোটোমাসিই ওর চিরকালের বন্ধু।”—কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে? কখন বলা হয়েছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। ১+২+২
১৯. “তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”—কোন্ দিনটির কথা বলা হয়েছে? কেন সেটা দুঃখের দিন? তপনের মনের প্রতিক্রিয়া কীরূপ? ১+২+২
২০. “আঃ ছোটোমাসি, ভালো হবে না
বলছি।”—কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? উক্তিটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করো। কথাটির মর্মার্থ লেখো। ১+২+২
পাঠ্যগত ব্যাকরন – জ্ঞানচক্ষু (আশাপূর্ণা দেবী)
বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
কারক-বিভক্তি
১. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি হল
(ক) কর্মকারকে এর’ বিভক্তি (খ) কর্তৃকারকে ‘এর’ বিভক্তি (গ)
সম্বন্ধপদে এর’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পদে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ক) কর্মকারকে এর’ বিভক্তি
২. “জলজ্যান্ত একজন লেখককে এত কাছ থেকে কখনো দেখেনি তপন”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি হবে
(ক) অধিকরণ কারকে ‘থেকে’অনুসর্গ
(খ) অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ (গ)
করণকারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ (ঘ) নিমিত্ত কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ
উত্তরঃ (খ) অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ
৩. “এ দেশের কিছু হবেনা।”—নিম্নরেখাঙ্কিত
পদটি যে কারক-বিভক্তির দৃষ্টান্ত, তা হল
(ক) সম্বন্ধপদে ‘র’ বিভক্তি (খ) নিমিত্ত কারকে ‘এর’ বিভক্তি (গ)
অধিকরণ কারকে ‘এর’ বিভক্তি (ঘ)
কর্তৃকারকে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (গ) অধিকরণ কারকে ‘এর’ বিভক্তি
৪. “ওদিকে মেসোরও না কী গরমের ছুটি চলছে।”–গরমের’ পদটি
(ক) কর্ম সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি (খ) অপাদান সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি (খ) করণ সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি (ঘ)
কর্তা সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি
উত্তরঃ (ঘ) কর্তা সম্বন্ধে ‘এর’ বিভক্তি
৫. “তপন তোমার গল্প তো দিব্যি হয়েছে।” -‘তপন’ পদটি
(ক) কর্তৃকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (খ) কর্মকাণকে ‘শূন্য’ বিভক্তি (গ) সম্বদে ‘শূন্য’ বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পাপ “শূন্য বিভক্তি
উত্তরঃ (ঘ) সম্বোধন পাপ “শূন্য বিভক্তি
সমাস
৬. “তপনের নতুন মেসোমশাই একজন লেখক।”-মোসোমশাই’ পদটির ব্যাসবাক্য হবে
(ক) যিনি মেসো তিনিই মশাই (খ) মেসো ও মশাই
(গ) মেসো মশাই যিনি (ঘ) মাসির বর
উত্তরঃ (ক) যিনি মেসো তিনিই মশাই
৭. “কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।”-‘জ্ঞানচক্ষু’ পদটির সমাস হবে
(ক) উপমান কর্মধারয় (জ্ঞানের মতো চক্ষু)
(খ) রূপক কর্মধারয় (জ্ঞান রূপ চক্ষু) (গ) দ্বন্দ্ব সমাস (জ্ঞান ও চক্ষু) (ঘ)
নিমিত্ত তৎপুরুষ (জ্ঞানের নিমিত্তে চক্ষু)
উত্তরঃ (খ) রূপক কর্মধারয় (জ্ঞান রূপ চক্ষু)
৮. “তাই মেসো শ্বশুরবাড়িতে এসে রয়েছেন কদিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।
(ক) সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস (খ) কর্মধারয়
সমাস (গ) বহুব্রীহি সমাস (ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
উত্তরঃ (ক) সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
৯. “আঃ ছোটোমাসি, ভালো হবে না
বলছি।”-“ছোটোমাসি’ পদটির ব্যাসবাক্য হবে
(ক) ছোটো মাসির মতো (খ) যিনি ছোটো তিনিই
মাসি (গ) মায়ের বোন (ঘ) ছোটো যে মাসি
উত্তরঃ (ঘ) ছোটো যে মাসি
১০. “বলেন, একটু-আধটু কারেকশান করতে হয়েছে অবশ্য।”–একটু আধটু’ পদটির ব্যাসবাক্য হবে
(ক) একটু ও আধটু (খ) যা একটু তা-ই আধটু
(গ) একটুতেই আধটু (ঘ) অতিসামান্য পরিমাণ
উত্তরঃ (ক) একটু ও আধটু
বাক্য
১১. “মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন, আর ছুটি আছে বলেই রয়ে গেছে।”—বাক্যটি গঠনগতভাবে
(ক) মিশ্র বাক্য (খ) জটিল বাক্য (গ) যৌগিক
বাক্য (ঘ) সরলবাক্য
উত্তরঃ (গ) যৌগিক বাক্য
১২. “কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—বাক্যটির প্রশ্নবোধ রূপটি হবে
(ক) কথাটা শুনে তপনের চোখ কি মার্বেল হল
না? (খ) কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল না কি? (গ) কথাটা শুনে কি তপনের চোখ মার্বেল হল? (ঘ) কথাটা শুনে
তপনের চোখ কি সত্যিই মার্বেল হল?
উত্তরঃ (খ) কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল না কি?
১৩. “অনেক বই ছাপা হয়েছে মেসোর”—বাক্যটির নঞর্থক রূপ কী হবে?
(ক) অনেক বই মেসোর ছাপা হয়নি (খ) মেসোর
কম বই ছাপা হয়েছে (গ) অল্প বই ছাপা হয়নি মেসোর (ঘ) সবগুলিই ঠিক
উত্তরঃ (গ) অল্প বই ছাপা হয়নি মেসোর
১৪. “গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”—বাক্যটির সরল রূপ হবে
(ক) গল্প ছেপেছে কিন্তু ভয়ংকর আহাদ খুঁজে
পায় না (খ) ছাপা গল্পের মধ্যে কোনো আহাদ নেই (গ) গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহাদ সে
খুঁজে পায় না (ঘ) গল্প ছাপা হয়েছে অথচ আহাদ খুজে পায় না
উত্তরঃ (গ) গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহাদ সে খুঁজে পায় না
১৫. “তপন বইটা ফেলে রেখে চলে যায়।”—এটি
(ক) নির্দেশক বাক্য (খ) প্রার্থনাসূচক
বাক্য (গ) সন্দেহবাচক বাক্য (ঘ) অনুত্তবাচক বাক্য
উত্তরঃ (ক) নির্দেশক বাক্য
বাচ্য
১৬. “এ দেশের কিছু হবে না।”—বাচ্যগত দিক
থেকে বাক্যটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ)
ভাববাচ্য (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
উত্তরঃ (গ) ভাববাচ্য
১৭. “মেসো অবশ্য মৃদু মৃদু হাসেন।”-বাচ্যটি
(ক) কর্তৃবাচ্য (খ) কর্মবাচ্য (গ)
কর্মকর্তৃবাচ্য (ঘ) ভাববাচ্য
উত্তরঃ (ক) কর্তৃবাচ্য
১৮. “তিনি নাকি বই লেখেন।”—বাক্যটির
কর্মবাচ্যের রূপ হবে
(ক) সে নাকি বই লেখে (খ) তার নাকি বই লেখা
হয় (গ) তার কর্তৃক বই লিখিত হয় (ঘ) সে বই লেখে
উত্তরঃ (গ) তার কর্তৃক বই লিখিত হয়
১৯. “একটু পরেই ছোটোমেসো ডেকে পাঠান তপনকে।”—বাক্যটির কর্মবাচ্যের রূপ লেখো
(ক) একটু পরেই ছোটোমেসো কর্তৃক তপনকে ডেকে
পাঠানো হয় (খ) একটু পরেই ছোটোমেসো দ্বারা তপনকে ডাকা হয় (গ) একটু পরেই তপন ছোটো
মেসো দ্বারা আহূত হয় (ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তরঃ (ক) একটু পরেই ছোটোমেসো কর্তৃক তপনকে ডেকে পাঠানো হয়
২০. “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।”—বাক্যটি
(ক) কর্মবাচ্য (খ) কর্তৃবাচ্য (গ)
কর্মকর্তৃবাচ্য (ঘ) ভাববাচ্য
উত্তরঃ (খ) কর্তৃবাচ্য
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১)
কারক-বিভক্তি
১. “এ কথাটাই ভাবছে তপন রাত-দিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ কথাটাই—কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি। রাতদিন—অধিকরণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
২. “কোনোখান থেকে টুকলিফাই করিসনি তো?”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ কোনোখান—অপাদান কারকে ‘থেকে’ অনুসর্গ।
৩. “পত্রিকাটি সকলের হাতে হাতে ঘোরে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তরঃ হাতে হাতে—অপাদান কারকে ‘তে’ বিভক্তি।
৪. “নতুন করে লিখেছেন, নিজের পাকা
হাতের কলমে।”—রেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ কলমে—করণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৫. “মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি কী হবে?
উত্তরঃ দুঃখের দিন–কর্মকারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
সমাস
৬. “এ কথাটাই ভাবছে তপন রাত-দিন।” —নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।
উত্তরঃ রাত-দিন-রাত ও দিন (দ্বন্দ্ব সমাস)।
৭. মেজোকাকু’ পদটির ব্যাসবাক্য ভেঙে সমাসের নাম উল্লেখ
করো।
উত্তরঃ মেজোকাকু–মেজো যে কাকু (সাধারণ কর্মধারয় সমাস)।
৮. “তার মানে মেসো তপনের গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশন করেছে।” -নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ আগাগোড়া—আগা হইতে গোড়া পর্যন্ত (অব্যয়ীভাব
সমাস)।
৯. “এদিকে বাড়িতে তপনের নাম হয়ে গেছে কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।” -‘কথাশিল্পী’ পদটির সমাস নির্ণয় করো। কথাশিল্পী-কথা
বিষয়ে শিল্পী (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস)।
উত্তরঃ
১০. “আর কলমটি নিয়ে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গেল।”—’তিনতলার’ পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উত্তরঃ তিনতলা—তিনটি তলার সমাহার, এর (সমাহার দ্বিগু সমাস)।
বাক্য
১১. “কিন্তু কে শোনে তার কথা?”—বাক্যটিকে
না-বাচক বাক্যে রূপান্তর করো।
উত্তরঃ কিন্তু কেউ তার কথা শোনে না।
১২. “ছুটি ফুরোলে মেসো গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন।”—যৌগিক বাক্যের রূপ দাও।
উত্তরঃ ছুটি ফুরোল এবং মেসো গল্পটি নিয়ে চলে গেলেন।
১৩. “এটা খুব ভালো।”—বাক্যটিকে
বিষ্ময়বোধক বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ এটা কী ভালো!
১৪. “আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।”—জটিলবাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ আমাদের যদি থাকত তাহলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।
১৫. “সন্ধ্যাতারা’-র সম্পাদক ‘না’ করতে পারবে না।”—হা-বাচক বাক্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা’-র সম্পাদক হ্যাঁ করবে।
বাচ্য
১৬. “মামার বাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই এসেছে তপন।”—বাক্যটিকে ভাববাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ মামারবাড়িতে এই বিয়ে উপলক্ষ্যেই তপনের আসা হয়েছে।
১৭. “তপন অবশ্য ‘না-আ-আ করে
প্রবল আপত্তি তোলে।”—বাক্যটির কর্মবাচ্যের রূপ লেখো।
উত্তরঃ তপন কর্তৃক অবশ্য না-আ-আ করে প্রবল আপত্তি তোলা হয়।
১৮. “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের।”—বাক্যটিকে কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তরঃ এ বিষয়ে তপন সন্দেহাপন্ন ছিল।
১৯. “লুকিয়ে লিখেছে”—ভাববাচ্যেরূপ
দাও।
উত্তরঃ লুকিয়ে লেখা হচ্ছে।
২০. “তপন লজ্জা ভেঙে পড়তে যায়।”—বাক্যটিকে ভাববাচ্যে লেখো।
উত্তরঃ তপন কর্তৃক লজ্জা ভেঙে পড়তে যাও হয়।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box