উত্তরঃ মুদালিয়র কমিশনের অভিমত অনুযায়ী, মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের রুচি, প্রবণতা ও সামর্থ্য অনুসারে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য কমিশন মােট সাতটি প্রবাহ বা বিভাগের সুপারিশ করেছে। এই প্রবাহ অনুযায়ী শিক্ষাদানের জন্য কমিশন নানা ধরনের বিদ্যালয় প্রসঙ্গে তার মতামত ব্যক্ত করে। এপ্রসঙ্গে নীচে আলােচনা করা হলাে—
1) নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় : প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাশ করে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে ৩ বছরের শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। ফলে এখানে ৩টি শ্রেণি থাকবে বলে মুদালিয়র কমিশন সুপারিশ করে।
2) উচ্চ বিদ্যালয় : দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলি এই বিভাগে পড়বে।
3) উচ্চতর বিদ্যালয় : শিক্ষার্থীরা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে এখানে চার বছর পড়াশােনা করতে পারবে। অষ্টম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা থাকবে এখানে।
4) বহুমুখী বা সর্বার্থসাধক উচ্চবিদ্যালয় : যেখানে বেশি সুযােগ-সুবিধা রয়েছে। বা যেখানে সুযােগ পাওয়া যাবে, সেখানে সর্বার্থসাধক বা বহুমুখী বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশন।
5) কৃষিশিক্ষার বিদ্যালয় : গ্রামাঞ্চলে কৃষি বিদ্যালয় স্থাপন করে সেখানে কৃষিবিদ্যার পাশাপাশি পশুপালন, বাগান তৈরি ও কুটিরশিল্পের সুপারিশ করেছে কমিশন।
6) কারিগরি শিক্ষার বিদ্যালয় : শিল্পাঞ্চলের আশেপাশে কারিগরি শিক্ষার বিদ্যালয় থাপন করতে হবে।
7) আবাসিক বিদ্যালয় : কমিশন গ্রামাঞলে আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে। অভিভাবকরা যেখানে ছেলে-মেয়েদের দেখাশােনা করার সুযােগ পান না সেখানে আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে তােলা জরুরি।
8) প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় : দৈহিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার ছেলে-মেয়েদের জন্য মুদালিয়র কমিশন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে।
9) বালিকা বিদ্যালয় : প্রতিটি রাজ্যের নানা স্থানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও পৃথক বিদ্যালয় স্থাপনের সুপারিশ করেছে কমিশন। ঐ বিদ্যালয়ে সংগীত, শিল্পকলা, পুষ্টিবিজ্ঞান, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান পড়াতে হবে।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box