মাধ্যমিক বাংলা ২০১৮
প্রশ্ন উত্তর (এককথায় উত্তর দাও)
২. কমবেশি ২০টি শব্দে
প্রশ্নগুলির উত্তর দাও: ১ x ১৯ = ১৯
২.১
যে-কোনো ৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও। ১ X ৪= ৪
২.১.১
“তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন”?- কোন্ বস্তুটি পকেটে ছিল?
উত্তর-
যে বস্তুটি পকেটে ছিল সেটি হলো একটি গাঁজার কলকে।
২.১.২
“হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই
একরকম চলে যাচ্ছে।” কী রকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?
উত্তর-
বহু রূপের খেলা দেখিয়ে অর্থাৎ বহুরূপী সেজে মানুষের মনোরঞ্জন করে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে।
২.১.৩
“নদেরচাঁদ সব বোঝে”- নদেরচাঁদ কী বোঝে?
উত্তর-
নদীর প্রতি নদেরচাঁদের একটা অস্বাভাবিক মায়া ছিল। সেটা তার বয়স এবং পেশার পক্ষে মোটেই
মানানসই নয়। এটা সে বোঝে।
২.১.৪
“একটু ‘কারেকশান’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে
দেওয়া চলে।”- কে কী ছাপানোর কথা
বলেছেন?
উত্তর-
তপনের নতুন মেসো তপনের লেখা গল্প ছাপানোর কথা বলেছেন।
২.২
যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও:[৪x১=8]
২.২.১
“বিদ্রুপ করছিলে ভীষণকে”- কীভাবে ‘বিদ্রুপ’ করছিল?
উত্তর-
বিরূপের ছদ্মবেশে বিদ্রুপ করেছিল ভীষণকে।
২.২.২
“কে কবে শুনেছে পুত্র, ভাসে শিলা জলে”,- বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর-
‘রাঘব’ মরেও বেঁচে উঠেছিল বলে রাক্ষসরাজ রাবণ
এমন মন্তব্য করেছেন।
২.২.৩
“ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর।”- চরাচর স্তব্ধ কেন?
উত্তর-
অট্টরোলের হট্টগোলে চরাচর স্তব্ধ ছিল।
২.২.৪
“রক্ত মুছি শুধু গানের গায়ে”- কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর-
এর অর্থ- হিংস্রতা, ক্রুরতা, হানাহানি ইত্যাদির বিরুদ্ধে কবির অবলম্বন হল গান।
২.২.৫
“কন্যারে ফেলিল যথা” কন্যাকে কোথায় ফেলা
হল?
উত্তর-
সমুদ্রের মাঝে এক দিব্য পুরী ছিল। সেখানেই কন্যাকে ফেলা হল।
২.৩
যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও: [৩x১=৩]
২.৩.১
“আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন” – শব্দের ‘ত্রিবিধ কথা’ কী? উত্তর- শব্দের ত্রিবিধ কথা হল অভিধা,
লক্ষণা ব্যঞ্জনা।
২.৩.২
“যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা
প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।”- শ্রেণি দুটি কী কী?
উত্তর-
শ্রেণি দুটি হল- ১) যারা ইংরেজি জানে না বা অল্প জানে এবং
২) যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি
ভাষায় কমবেশি বিজ্ঞান পড়েছে।
২.৩.৩
দু-জন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল
ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
উত্তর-
দু-জন সাহিত্যিক যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
এবং শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়।
২.৩.৪
লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কীসে ‘হোম-টাস্ক’ করতেন?
উত্তর-
লেখক শ্রীপান্থ ছোটবেলায় কলাপাতায় হোমটাস্ক করতেন।
২.৪
যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও: [৮x১=৮]
২.৪.১
নির্দেশক বাক্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর-
যে বাক্যের সাহায্যে কোনো সাধারণ তথ্য বা বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাকে নির্দেশক বাক্য
বলে।
২.৪.২
শব্দ বিভক্তির একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর-
একটি শব্দ বিভক্তির উদাহরণ হল ‘তে’। যেমন-
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে।
২.৪.৩
প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে?
উত্তর-
যে কর্তা অপরকে দিয়ে কর্ম সম্পাদন করায় তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। আবার, প্রযোজক কর্তা
যাকে দিয়ে কর্ম সম্পাদন করায়, সেই হলো প্রযোজ্য কর্তা।
২.৪.৪
নিম্নরেখ শব্দটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো-
কহ দাসে লঙ্কার কুশল।
উত্তর-
কুশল= কর্মকারক, শূন্য বিভক্তি।
২·৪.৫ সম্বন্ধপদ কাকে
বলে?
উত্তর-
বাক্যস্থিত যে নামপদের ক্রিয়াপদের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক থাকে না কিন্তু অন্য
কোনো নামপদের সম্বন্ধ থাকে, তাকে সম্বন্ধ পদ বলে।
২.৪.৬
গৌর অঙ্গ যাহার- ব্যাসবাক্যটি সমাসবদ্ধ করে
সমাসের নাম লেখো।
উত্তর-
গৌরাঙ্গ= সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস।
২.৪.৭
কর্মকর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর-
যে বাচ্যে কর্মবাচক পদটি কর্তারূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
২.৪.৮
বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোল আনাই
বজায় আছে।- সরলবাক্যে পরিণত করো। উত্তর- বাবুটির স্বাস্থ্য গেলেও ষোল আনাই বজায়
আছে। (সরলবাক্য)
২.৪.৯
‘আর কোনো ভয় নেই।’ – প্রশ্নবোধক বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর-
প্রশ্নবোধক বাক্য= আর ভয় কীসের?
২.৪.১০
‘বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।– কর্মবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তর-
(তোমার দ্বারা) বুড়ো মানুষের কথাটা শোনা হোক।
মাধ্যমিক বাংলা ২০১৯
প্রশ্নউত্তর (এককথায় উত্তর দাও)
২.
কমবেশি ২০টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১ x ১৯ = ১৯
২.১
যে-কোনো ৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও। ১ X ৪= ৪
২.১.১ ‘অদল-বদলের গল্প’ গ্রাম প্রধানের কানে
গেলে তিনি কী ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তর-
গ্রাম প্রধান ঘোষণা করেন যে, এরপর থেকে গ্রামের সকলে অমৃতকে অদল এবং হিসাবকে বদল বলে
ডাকবে।
২.১.২
“সপ্তাহে বড়োজোর একটা দিন বহুরূপী সেজে পথে
বের হন হরিদা”– ‘বহুরূপী’ কাকে বলে?
উত্তর-
যে বহু রূপ ধারণ করে, বিভিন্ন বেশে সজ্জিত হয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করে এবং তার বিনিময়ে
অর্থ উপার্জন করে তাকে বহুরূপী বলে।
২.১.৩
ভামো যাত্রায় ট্রেনে অপূর্বের কে কে সঙ্গী
হয়েছিল?
উত্তর-
অপূর্বের সঙ্গী ছিল একজন আরদালি এবং অফিসের একজন হিন্দুস্তানি ব্রাহ্মণ পেয়াদা। ২.১.৪
“সূচিপত্রেও নাম রয়েছে”– সূচিপত্রে কী লেখা ছিল?
উত্তর-
সূচিপত্র লেখা ছিল- ‘প্রথম দিন’ (গল্প)
শ্রী তপন কুমার রায়।
২.১.৫
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর-
সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
২.২
যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও: [৪×১=৪ ]
২.২.১
“ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে!”– কী ছড়ানো রয়েছে?
উত্তর-
কাছে দূরে ছড়ানো ছিল শিশুদের শব।
২.২.২
“ছদ্মবেশী অম্বুরাশি-সুতা” কেন ইন্দ্রজিতের কাছে
এসেছিলেন?
উত্তর-
ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ এবং রাজা রাবণের যুদ্ধসজ্জার সংবাদ দেওয়ার
জন্য অম্বুরাশি-সুতা অর্থাৎ লক্ষ্মী ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছিলেন।
২.২.৩
“সখী সবে আজ্ঞা দিল”- বক্তা তার সখীদের কী আজ্ঞা দিয়েছিলেন?
উত্তর-
বক্তা অর্থাৎ সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার সখীদের আজ্ঞা দিয়েছিলেন অচেতন পাঁচ কন্যাকে বস্ত্র
দিয়ে ঢেকে উদ্যানের মাঝে নিয়ে যেতে।
২.২.৪
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কে বাংলায়
তরজমা করেছেন?
উত্তর-
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলায় তরজমা করেছেন নবারুণ
ভট্টাচার্য।
২.২.৫
“প্রলয় বয়েও আসছে হেসে”- ‘প্রলয়’ বহন করেও হাসির কারণ
কী?
উত্তর-
কারণ সেই প্রলয়ের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নবীনের আগমন বার্তা।
২.৩
যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও: [৩x১=৩
]
২.৩.১ “সোনার দোয়াত কলম যে সত্যই হতো” তা লেখক কীভাবে জেনেছিলেন?
উত্তর-
সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্ৰহ দেখতে গিয়ে লেখক তা জেনেছিলেন।
২.৩.২
দোকানদার লেখককে কলম বিক্রি করারআগে কী জাদু
দেখিয়েছিলেন?
উত্তর-
দোকানদার কলমের মুখ থেকে খাপটা সরিয়ে একটা কাঠের বোর্ডের ওপর সেটা ছুঁড়ে দিয়েছিলেন
এবং তারপরেও কলমের নিবটা অক্ষত ছিল।
২.৩.৩
ছেলেবেলায় রাজশেখর বসু কার লেখা জ্যামিতি
বই পড়তেন?
উত্তর-
ছেলেবেলায় রাজশেখর বসু ব্রহ্মমোহন মল্লিকের লেখা বাংলা জ্যামিতি বই পড়তেন।
২.৩.৪
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে পরিভাষা সমিতি
নিযুক্ত করেছিলেন?
উত্তর-
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত করেছিলেন।
২.৪
যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও: [৮x১=৮
]
২.৪.১
বিভক্তি ও অনুসর্গের একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর-
বিভক্তি শব্দের সঙ্গে মিশে থাকে, কিন্তু অনুসর্গ সতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হয়।
২.৪.২
‘মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা’ নিম্নরেখ পদটির কারক
ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তর-
মন্দিরে= অধিকরণ কারক, এ বিভক্তি।
২.৪.৩
ব্যাসবাক্যসহ একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ
দাও।
উত্তর-
পিতামাতা= পিতা ও মাতা (দ্বন্দ্ব সমাস)।
২.৪.৪
‘মেঘেঢাকা’ শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম উল্লেখ
করো।
উত্তর-
মেঘেঢাকা= মেঘ দ্বারা ঢাকা (করণ তৎপুরুষ)
২.৪.৫
বিধেয় প্রসারকের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর-
অঙ্কিতা এক ঘন্টা ধরে কেবল বিজ্ঞান পড়ছে। এই বাক্যে ‘এক ঘন্টা ধরে’ পদগুলি হল বিধেয় প্রসারক।
২.৪.৬
‘ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না পেলে ও স্কুলে যাবে
না।’- যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন
করো।
উত্তর-
ঠিক ইসাবের মতো জামাটি পাবে এবং ও স্কুলে যাবে।
২.৪.৭
কর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর-
যে বাক্যে কর্তার প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়া কর্তার পুরুষের অনুগামী হয় তাকে কর্তৃবাচ্য
বলে।
২.৪.৮
‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।’- ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর-
ভাববাচ্য= তাদের আর স্বপ্ন দেখা হলো না।
২·৪.৯ অলোপ সমাস কী?
উত্তর-
যে সমাসের সমস্তপদে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলোপ সমাস বলে।
২.৪.১০
সে তখন যেতে পারবে না- হ্যাঁ-বাচক বাক্যে পরিবর্তন
করো।
উত্তর-
হ্যাঁ-বাচক বাক্য= সে কি তখন আর যেতে পারবে?
মাধ্যমিক বাংলা ২০২০
প্রশ্নউত্তর (এককথায় উত্তর দাও)
২. কমবেশি ২০টি
শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও: ১ x ১৯ = ১৯
২.১ যে-কোনো
৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও। ১ X ৪= ৪
২.১.১ ‘বড়ো
ভয় করিতে লাগিল নদেরচাঁদের”- নদেরচাঁদের কেন ভয় করতে লাগল?
উত্তর- ক্ষোভে রোষে উন্মত্ত জলরাশির দিকে দৃষ্টিপাত
করে তার ভয় করতে লাগল।
২.১.২ “অমৃত
ফতোয়া জারি করে দিল,”- অমৃত কী ‘ফতোয়া’ জারি করেছিল?
উত্তর- ঠিক ইসাবের মতো জামাটি না পেলে ও ইস্কুলে যাবে
না, এই ফতোয়া জারি করেছিল অমৃত।
২.১.৩ “বুড়োমানুষের
কথাটা শুনো”- বুড়োমানুষের কোন কথা শুনতে বলা হয়েছে?
উত্তর- বুড়োমানুষ অর্থাৎ নিমাইবাবু যে কথাটি গিরিশ মহাপাত্রকে
শুনতে বলেছিলেন তা হল- “আর (গাঁজা) খেও না।”
২.১.৪ “আপনি
কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?”- বক্তা একথা কাকে বলেছিলেন?
উত্তর- বক্তা অর্থাৎ বিরাগী জগদীশবাবুকে একথা বলেছিলেন।
২.১.৫ “আজ যেন
তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”- বক্তার কোন্ দিনটি সবচেয়ে দুঃখের? উত্তর-
যেদিন বক্তা অর্থাৎ তপন নিজের লেখা গল্পটি মুদ্রিত আকারে হাতে পেয়েছিল।
২.২ যে-কোনো
চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৪×১=৪
২.২.১ “এল ওরা
লোহার হাতকড়ি নিয়ে”- ওরা কারা?
উত্তর- ওরা বলতে ঔপনিবেশিক শক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
২.২.২“হায়, বিধি বাম মম প্রতি।” বক্তার
এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর- দেবতাদের অনুগ্রহে রাম-লক্ষণ মরেও বেঁচে উঠেছিল।
এইজন্য রাক্ষসরাজ রাবণ এরকম মন্তব্য করেছেন।
২.২.৩ “তোমায়
নিয়ে বেড়াবে গান”- গান কোথায় বেড়াবে?
উত্তর- নদীতে, দেশ-গায়ে বেড়াবে গান।
২.২.৪ “ধ্বংস
দেখে ভয় কেন তোর?”- কবি এ প্রশ্ন কাদের উদ্দেশ্যে করেছেন?
উত্তর- কবি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন করেছেন।
২.২.৫ ‘সিন্ধুতীরে
রহিছে মাঞ্জস।” – “মাঞ্জস’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর- ‘মাঞ্জস’
শব্দের অর্থ ভেলা।
২.৩ যে-কোনো
তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৩x১=৩
২.৩.১“তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।”- কী নিয়ে
লেখকদের ‘প্রথম লেখালেখি’? উত্তর- বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত,
ঘরে তৈরি কালি এবং লেখার জন্য কলাপাতা- এই নিয়ে লেখকদের প্রথম লেখালেখি।
২.৩.২ “লাঠি
তোমার দিন ফুরাইয়াছে।”- কথাটি কে বলেছিলেন?
উত্তর- কথাটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা।
২.৩.৩ “এতে
রচনা উৎকট হয়।”- রচনা ‘উৎকট’ হয় কীসে?
উত্তর- লেখক যদি ইংরেজিতে তার বক্তব্য ভাবেন এবং সেটিকে
যথাযথ বাংলা অনুবাদ করে প্রকাশ করতে চান, তখন রচনা উৎকট হয়।
২.৩.৪ প্রয়োজনমতো
বাংলা শব্দ পাওয়া না গেলে কী করা উচিত বলে লেখক মনে করেছেন?
উত্তর- প্রয়োজনমতো বাংলা শব্দ পাওয়া না গেলে ইংরেজি
শব্দই বাংলা বানানে লেখা উচিত বলে লেখক মনে করেছেন।
২.৪ যে-কোনো
আটটি প্রশ্নের উত্তর দাওঃ ৮x১=৮
২.৪১ তির্যক
বিভক্তি কাকে বলে?
উত্তর- যেসব বিভক্তি একাধিক কারকে প্রযুক্ত হয় তাদেরকে
তির্যক বিভক্তি বলে।
২.৪.২ সম্বন্ধপদ
কারক নয় কেন?
উত্তর- বাক্যের অন্তর্গত যে নামপদের ক্রিয়াপদের সঙ্গে
সরাসরি কোনো সম্পর্ক থাকে না, বরং অন্য কোনো নামপদের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে তাকে সম্বন্ধ
পদ বলে।
২.৪.৩ অব্যয়ীভাব
সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর- উপকূল= কূলের সমীপে (অব্যয়ীভাব সমাস)
২.৪.৪ নিরপেক্ষ
কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তর- শ্রেয়া গান গাইলে অঙ্কিতা আবৃত্তি করবে- এই বাক্যে
শ্রেয়া হল নিরপেক্ষ কর্তা।
২.৪.৫ নিম্নরেখ
শব্দটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো:- “পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে।”
উত্তর- পৃথিবী- কর্তৃকারক, শূন্য বিভক্তি।
২.৪.৬ উদ্দেশ্য
ও বিধেয় অংশ চিহ্নিত করো- “ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল।”
উত্তর- উদ্দেশ্য- ‘ওরা’, বিধেয়-
‘ভয়ে কাঠ হয়ে গেল’।
২.৪.৭ সূর্য
পশ্চিমদিকে উদিত হয়- বাক্যনির্মাণের কোন্ শর্ত এখানে লঙ্ঘন করা হয়েছে ?
উত্তর- এখানে বাক্যনির্মাণের যে শর্টটি লঙ্ঘন করা হয়েছে
তা হল- যোগ্যতা।
২.৪.৮ ‘বহুরূপী’- শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম করো।
উত্তর- বহুরূপী= বহু রূপ আছে যার (বহুব্রীহি সমাস)।
২.৪.৯ ‘কলম
তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।’ – জটিল বাক্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর- তাদের কাছে আজ যা অস্পৃশ্য তা হল কলম। (জটিল
বাক্য)
২.৪.১০‘নদীর ধারে তার জন্ম হইয়াছে’- কর্তৃবাচ্যে
পরিণত করো।
উত্তর- তিনি নদীর ধারে জন্মাইয়াছেন। (কর্তৃবাচ্য)
মাধ্যমিক বাংলা ২০২২
প্রশ্নউত্তর (এককথায় উত্তর দাও)
২। কম-বেশি ২০ টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও: ১৯
×১=১৯
২.১ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪×১=৪
২.১.১ তপন মামার বাড়িতে কেন এসেছিল ?
উঃ ছোট মাসির বিয়ে
উপলক্ষে তপন মামার বাড়িতে এসেছিল।
২.১.২ “শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে
তপন” – সংকল্পটি কী ?
উঃ তপন সংকল্প করেছিল
যে, যদি কখনো সে লেখা ছাপতে দেয়, তো সে নিজে গিয়ে দেবে- তাতে তার লেখা ছাপা হোক বা
না হোক।
২.১.৩ “আর যাই হোক্, যাকে খুঁজছেন তাঁর কালচারের কথাটা
একবার ভেবে দেখুন।”- কার খোঁজ করা হচ্ছিল?
উঃ পলিটিক্যাল সাসপেক্ট
সব্যসাচী মল্লিকের খোঁজ করা হচ্ছিল।
২.১.৪ “মাস্টারমশাই একটুও রাগ করেননি। বরং একটু তারিফই
করলেন” – ‘তারিফ’ করার কারণ কী?
উঃ মাস্টারমশাই নকল-পুলিশ
হরিদার সাজসজ্জার তারিফ করেছিলেন।
২.১.৫ “কিন্তু ওই ধরনের কাজ হরিদার জীবনের পছন্দই নয়।” — কী ধরনের কাজ হরিদার অপছন্দ ?
উঃ কোনো অফিসের কাজ
অথবা কোন দোকানের বিক্রিওয়ালার কাজ হরিদার অপছন্দ।
২.২ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৪×১=৪
২.২.১ “সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।” — ‘সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী’-টি কী ?
উঃ ‘সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী’-টি হল “ক্ষমা করো”।
২.২.২ “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” – কবিতাটির রচয়িতা কে?
উঃ “আয় আরো বেঁধে বেঁধে
থাকি” – কবিতাটির রচয়িতা কবি শঙ্খ ঘোষ।
২.২.৩ “তারপর যুদ্ধ এলো” – যুদ্ধ কেমনভাবে এলো ?
উঃ যুদ্ধ এল রক্তের
এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো।
২.২.৪ “এবার মহানিশার শেষে”- কে আসবে?
উঃ মহানিশার শেষে উষা
আসবে।
২.২.৫ “এ কলঙ্ক, পিতঃ, ঘুষিবে জগতে।” – বক্তা কোন্ কলঙ্কের কথা বলেছেন?
উঃ বক্তা অর্থাৎ ইন্দ্রজিতের
মতে, তার মতো যোগ্য পুত্র থাকা সত্বেও যদি তার পিতা (রাবণ) যুদ্ধক্ষেত্রে যান, সেই
ঘটনায় হবে কলঙ্কময়।
২.৩ যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
২.৩.১ “এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে।”- কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের
নেশার কথা বলা হয়েছে।
২.৩.২ “অনেক ধরে ধরে টাইপ রাইটারে লিখে গেছেন মাত্র একজন।” – কার কথা বলা হয়েছে ?
উঃ উদ্ধৃত অংশে স্বনামধন্য
সাহিত্যিক অন্নদাশঙ্কর রায়ের কথা বলা হয়েছে।
২.৩.৩ “কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।”- কাদের কাছে অস্পৃশ্য ?
উঃ পকেটমারদের কাছে
কলম আজ অস্পৃশ্য।
২.৩.৪ “সোনার দোয়াত কলম যে সত্যই হতো”- বক্তা সোনার দোয়াত কলমের কথা কীভাবে
জেনেছিলেন ?
উঃ সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত
দোয়াত সংগ্ৰহ দেখতে গিয়ে বক্তা অর্থাৎ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ সোনার দোয়াত কলমের কথা
জেনেছিলেন।
২.৪ যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৮×১=৮
২.৪.১ সমাস কাকে বলে ?
উঃ দুই বা তার বেশি
পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত পদের মিলনকে বলা হয় সমাস।
২.৪.২ রত্নাকর – শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উঃ রত্নাকর- রত্নের
আকর (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)।
২.৪.৩ ক্ষুদ্র গ্রহ – ব্যাসবাক্যটিকে সমাসবদ্ধ করে সমাসের
নাম লেখো।
উঃ ক্ষুদ্র গ্রহ= গ্রহাণু
(নিত্য সমাস)।
২.৪.৪ একটি নিত্য সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ গ্রামান্তর- অন্য
গ্রাম (নিত্য সমাস)।
২.৪.৫ উপপদ তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে?
উঃ কৃৎ প্রত্যয়ান্ত
বা কৃদন্ত পদের সমীপবর্তী পদকে বলা হয় উপপদ। কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদের যে সমাস হয়
তাকে বলা হয় উপপদ তৎপুরুষ সমাস। যেমন- অন্ধ করে যে= অন্ধকার।
২.৪.৬ প্রযোজ্য কর্তার একটি উদাহরণ দাও।
উঃ মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন-
এখানে ‘শিশু’ হলো প্রযোজ্য কর্তা।
২.৪.৭ শূন্য বিভক্তি কাকে বলে?
উঃ ব্যাকরণের নিয়ম
অনুযায়ী, বিভক্তি ছাড়া কোনো শব্দ পদে পরিণত হতে পারে না। তাই যেসব শব্দের সঙ্গে কোনো
বিভক্তি যুক্ত থাকে না, তাদের ক্ষেত্রে যে বিভক্তি যুক্ত আছে বলে ধরে নেওয়া হয়, তাই
হলো শূন্য বিভক্তি।
২.৪.৮ সম্বন্ধ পদের বিভক্তি কী কী?
উঃ সম্বন্ধ পদের বিভক্তি
‘র’ এবং ‘এর’।
২.৪.৯ একটি গৌণ কর্মের উদাহরণ দাও।
উঃ রাম আমাকে একটি বই
দিল- এখানে ‘আমাকে’ পদটি হল গৌণ কর্ম।
২.৪.১০ নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো :
চিঠি পকেটে ছিল।
উঃ পকেটে- অধিকরণ কারক,
‘এ’ বিভক্তি।
মাধ্যমিক বাংলা ২০২৩
প্রশ্নউত্তর (এককথায় উত্তর দাও)
২.১ যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪×১=৪
২.১.১ “হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল।” — ‘বুদ্ধি’ টা কী ছিল?
উত্তরঃ অমৃত ইসাবের
ছেঁড়া জামাটা পরে নিজেরটা ইসাবকে দিয়েছিল। এটাই হল তার বুদ্ধি।
২.১.২ “বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাঁদের।” নদের চাঁদের ভয় করার
কারণ কী?
উত্তর: বর্ষার জলে উদ্বৃত্ত
নদীর রোষে–ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা রূপ দেখে দিশেহারা
নদেরচাদের ভয় হয়েছিল নদীর আর্তনাদি জলরাশি যেন গোটা ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।
২.১.৩ “অপূর্ব মুগ্ধ হইয়া সেইদিকে চাহিয়া ছিল”— অপূর্ব কী দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ সব্যসাচী মল্লিককে
পুলিশের বড় কর্তা নিমাইবাবুর কাছে নিয়ে আসা হলে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক এর ছদ্মবেশ
ও ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ-বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল অপূর্ব।
২.১.৪ “আক্ষেপ করেন হরিদা।”— হরিদার আক্ষেপের কারণ কী ?
উত্তরঃ হরিদা জগদীশবাবুর
বাড়িতে আসা সন্ন্যাসীর মাহাত্ম্যের কথা শুনে তাঁর পায়ের ধুলো নিতে চান । কিন্তু সন্ন্যাসী
চলে যাওয়ায় হরিদার সেই ইচ্ছা আক্ষেপে পরিণত হয় ।
২.১.৫ “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই” – কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ কেবলমাত্র গুণী
ব্যক্তিই অপরের গুণের কদর করতে পারে। তাই তপনের লেখা গল্পের প্রকৃত সমঝদার যদি কেউ
থাকেন তবে তিনি তার লেখক মেসোমশাই।
২.২. যে-কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪×১=৪
২.২.১ “যেখানে ছিল শহর”— সেখানকার কী অবস্থা হল ?
উত্তরঃ আগে যেখানে শহর
ছিল যুদ্ধের পর সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, পাথরের মূর্তির বীভৎস
মাথা, রক্তের কালো দাগ।
২.২.২ “বলো ‘ক্ষমা করো”- – কীসের জন্য এই ক্ষমা প্রার্থনা
?
উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদী
শক্তিসহ সভ্য দুনিয়া যুগ যুগ ধরে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আফ্রিকার সংস্কৃতি ও
জনজাতির ওপর বর্বরোচিত শোষণ চালিয়েছে। তার জন্য মানবসভ্যতার প্রতিনিধি হয়ে যুগান্তের
কবির এই ক্ষমাপ্রার্থনা।
২.২.৩ “হা ধিক্ মোরে”। বক্তা নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছেন কেন
?
উত্তরঃ স্বর্ণলঙ্কা
যখন শত্রুপক্ষের ঘেরাটোপে, প্রিয় ভাই যখন নিহত, পিতা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত
তখন প্রমোদকাননে নারীদের মাঝে বিলাসিতা শোভন নয়– তাই এই আত্মধিক্কার।
২.২.৪ “তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ” কন্যা কোথায় থাকে
?
উত্তরঃ 'সিন্ধুতীরে'
কাব্যাংশ থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মার নিজের হাতে রচিত উদ্যানের মধ্যে
অবস্থিত রত্নখচিত উচ্চ টঙ্গি অর্থাৎ রাজপ্রাসাদে থাকেন।
২.২.৫ “ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর” – কবি ধ্বংসকে ভয় পেতে নিষেধ করেছেন
কেন?
উত্তরঃ কবি যে ধ্বংসের
কথা বলেছেন, সেই মহাকালের ভয়ংকর ধ্বংসলীলার মধ্যেও নবসৃষ্টির বীজ নিহিত থাকে। সেইজন্যই
কবি এই ধ্বংস দেখে তাকে ভয় না-করার কথা বলেছেন।
২.৩. যে-কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৩×১=৩
২.৩.১ ‘কুইল’ কাকে বলে?
উত্তরঃ 'হারিয়ে যাওয়া
কালি কলম' প্রবন্ধ অনুসারে পাখির পালক দিয়ে তৈরি কলমকে ইংরেজিতে বলা হয় কুইল।
২.৩.২ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কী ত্রুটি ছিল
?
উত্তরঃ বঙ্গীয় সাহিত্য
পরিষদের উদ্দ্যোগে ত্রুটি ছিল যে, তাঁরা একসঙ্গে কাজ না করে পৃথকভাবে কাজ করেছিলেন।
ফলে সংকলিত পরিভাষার মধ্যে সমতা আসেনি, একই ইংরেজি সংজ্ঞার বিভিন্ন ধরনের প্রতিশব্দ
রচিত হয়েছে।
২.৩.৩ “আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে।” আজ কী অবলুপ্তির পথে?
উত্তরঃ কম্পিউটারের
ব্যাপক ব্যবহারের কারণে নানা ধরনের ফাউনটেন পেন, কালি, দোয়াত, কলমদানি —এ সবই আজ অবলুপ্তির
পথে।
২.৩.৪ “বাংলায় বিজ্ঞান শেখা তাদের সংস্কারের বিরোধী
নয়।” –কাদের পক্ষে এই শিক্ষা
সংস্কার-বিরোধী নয়?
উত্তরঃ বাংলা পরিভাষা
আয়ত্ত করে বাংলায় বিজ্ঞান শেখা বিষয় ইংরেজি না-জানা পাঠকদের কাছে সংস্কারের বিরোধী
নয়।
২.৪. যে-কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও: ৮×১=৮
২.৪.১ বিভক্তি কাকে বলে ?
উঃ যে বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ
শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে তাকে বিভক্তি বলে।
২.৪.২ নিরপেক্ষ কর্তার একটি উদাহরণ দাও।
উঃ তুমি এলে আমি যাবো।
২.৪.৩. ‘উপগ্রহ’ কথাটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।
উঃ উপগ্রহ= গ্রহের সদৃশ
(অব্যয়ীভাব সমাস)।
২.৪.৪ ‘অলোপ সমাস’ কাকে বলে?
উঃ যে সমাসের সমস্তপদে
সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলোপ সমাস বলে। যেমন, তেলে ভাজা= তেলেভাজা।
২.৪.৫ বিমলবাবুর ছেলে হেঁটে হেঁটে স্কুল যায় –বাক্যটির
উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ চিহ্নিত করো। উঃ উদ্দেশ্য= বিমলবাবুর ছেলে, বিধেয়= হেঁটে
হেঁটে স্কুল যায়।
২.৪.৬ খাঁটি গোরুর দুধ খেতে হবে।- এটি বাক্য নয় কেন?
উঃ খাঁটি গোরুর দুধ
খেতে হবে।- এটি বাক্য নয়, কারণ এখানে সুশৃঙ্খল পদ বিন্যাস বা আসত্তি নেই। বাক্যটি
হত- গোরুর খাঁটি দুধ খেতে হবে।
২.৪.৭ ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ ভাববাচ্যের উদাহরণঃ
এখানে আসা হোক।
২.৪.৮ ‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল’- জটিল বাক্যে পরিবর্তন করো।
উঃ যেই তপন কথাটা শুনল
অমনি তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। (জটিল বাক্য)
২.৪.৯ সিঁড়ি থেকে নামা হল। – বাক্যটিকে কর্তৃবাচ্যে
রূপান্তর করো।
উঃ সিঁড়ি থেকে নামল।
(কর্তৃবাচ্য)
২.৪.১০ চাঁদের পাহাড়ের গল্প কখনও ভুলব না- বাক্যটিকে
প্রশ্নসূচক বাক্যে রূপান্তর করো।
উঃ চাঁদের পাহাড়ের গল্প কি কখনও ভুলব? (প্রশ্নসূচক বাক্য)
More Tags:
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box