মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২ (2022) | পথের দাবী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় MCQ, সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

Madhyamik Bengali Suggestion 2022

পথের দাবী – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান ১) :
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:-
১. ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত শরৎচন্দ্রের উপন্যাসটি – (a) পথের দাবী (b) শেষপ্রশ্ন (c) গৃহদাহ (d) চরিত্রহীন
উত্তরঃ (a) পথের দাবী 
২. হলঘরে মোটঘাট নিয়ে বসে আছে – (a) জন-পাঁচেক (b) জন-ছয়েক (c) জন-চারেক (d) জন-তিনেক
উত্তরঃ (b) জন-ছয়েক 
৩. তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রিরা চাকরির উদ্দেশে গিয়েছিল – (a) রেঙ্গুন (b) কলকাতা (c) দিল্লি (d) কোনোটাই নয়
উত্তরঃ (a) রেঙ্গুন 
৪. পলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম ছিল— (a) অপূর্ব রায় (b) নিমাই মল্লিক (c) সব্যসাচী চক্রবর্তী (d) সব্যসাচী মল্লিক
উত্তরঃ (c) সব্যসাচী চক্রবর্তী 
৫. সব্যসাচী ডাক্তারি পাশ করেছিলেন— (a) জার্মানি থেকে (b) বিলাত থেকে (c) আমেরিকা থেকে (d) জাপান থেকে
উত্তরঃ (b) বিলাত থেকে 
৬. সব্যসাচী সন্দেহে আটক করা ব্যক্তির বয়স – (a) ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয় (b) ত্রিশ-বত্রিশের কম (c) চল্লিশের মধ্যে (d) চল্লিশের বেশি
উত্তরঃ (a) ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয় 
৭. সব্যসাচী নিজের কী নাম বলেছিলেন? – (a) সব্যসাচী মল্লিক (b) নিমাই মহাপাত্র (c) অপূর্ব রায় (d) গিরীশ মহাপাত্র
উত্তরঃ (d) গিরীশ মহাপাত্র 
৮. গিরীশ মহাপাত্রের পায়ে যে ফুল মোজা ছিল, তার রং— (a) নীল (b) লাল (c) সবুজ (d) রামধনুর মতো
উত্তরঃ (c) সবুজ 
৯. গিরীশ মহাপাত্রের মাথায় ছিল— (a) টিনের তোরঙ্গ (b) কম্বল জড়ানো বেডিং (c) বিছানার বান্ডিল (d) বড়ো সুটকেস
উত্তরঃ (a) টিনের তোরঙ্গ
১০. গিরীশ মহাপাত্র তার ট্র্যাক থেকে বার করেছিল— (a) একটি টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা (b) পাঁচ টাকার একটি নোট (c) গন্ডা ছয়েক পয়সা (d) একটা দেশলাই
উত্তরঃ (a) একটি টাকা ও গন্ডা ছয়েক পয়সা
১১. গিরীশ মহাপাত্রের বুকপকেট থেকে দেখা যাচ্ছিল – (a) একটি রুমালের কিছু অংশ (b) গাঁজার কলকে (c) ফুটবল (d) লাল রঙের ফিতে
উত্তরঃ (a) একটি রুমালের কিছু অংশ 
১২. গিরীশ মহাপাত্রর কাছ থেকে যে গাঁজার কলকে পাওয়া গিয়ছিল সেটি সে রেখেছিল – (a) সুটকেসে (b) ব্যাগে (c) ট্র্যাকে (d) পকেটে
উত্তরঃ (b) ব্যাগে 
১৩. “যদি কারও কাজে লাগে তাই তুলে রেখেছিবক্তা তুলে রেখেছিল— (a) রুমাল (b) মোজা (c) টিনের বাক্স (d) গাঁজার কলকে
উত্তরঃ (d) গাঁজার কলকে 
১৪. পথে কুড়িয়ে পেলাম”— বকা পথে কুড়িয়ে পেয়েছিল— (a) কিছু টাকা (b) একটি গাঁজার কলকে (c) কম্পাস (d) একটি দেশলাই
উত্তরঃ (b) একটি গাঁজার কলকে 
১৫. নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন— (a) কংসে গাঁজা খায় কিনা (b) সে ফুটবল খেলতে জানে নাকি (c) সে কী কী বই পড়েছে (d) সে কোথা থেকে এসেছে
উত্তরঃ (a) কংসে গাঁজা খায় কিনা 
১৬. কীসের গন্ধে থানাসুদ্ধ লোকের মাথা ধরে গেল? – (a) উগ্র পারফিউমের গন্ধে (b) আঁশটে গন্ধে (c) নারকেল তেলের গন্ধে (d) লেবুর তেলের গন্ধে
উত্তরঃ (d) লেবুর তেলের গন্ধে 
১৭. “কিন্তু এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করার দরকার নেই বড়েবাবু।”– একথা বলেছেন – (a) অপূর্ব (b) নিমাইবাবু (c) জগদীশবাবু (d) রামদাস
উত্তরঃ (d) রামদাস 
১৮. “আমারও অনুমান কতকটা তাই/বক্তার অনুমান – (a) সব্যসাচী বর্ষায় এসেছে (b) তেওয়ারি চুরি করেছে (c) গিরীশ মহাপাত্রই সব্যসাচী (d) সব্যসাচী রেঙ্গুনেই আছে
উত্তরঃ (b) তেওয়ারি চুরি করেছে    
১৯. ভাঙা টিনের তোরঙ্গটি ধরে বেরিয়ে এসেছিল— (a) সব্যসাচী রায় (b) নিমাই মহাপাত্র (c) গিরীশ মহাপাত্র (d) অপূর্ব রায়
উত্তরঃ (c) গিরীশ মহাপাত্র 
২০. রামদাস পেশায় ছিল— (a) করণিক (b) পেশকার (c) সাংবাদিক (d) অ্যাকাউন্টেট
উত্তরঃ (d) অ্যাকাউন্টেট 
২১. অপূর্বকে প্রতিদিন তার হাতের তৈরি মিষ্টি খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন— (a) রামদাসের মা (b) রামদাস (c) রামদাসের স্ত্রী (d) নিমাইবাবু
উত্তরঃ (c) রামদাসের স্ত্রী 
২২. “তোমার চিন্তা নেই ঠাকুর”– ঠাকুর বলা হয়েছে – (a) অপূর্বকে (b) ঈশ্বরকে (c) রামদাসকে (d) তেওয়ারিকে
উত্তরঃ (d) তেওয়ারিকে
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান ১) :
 

১. পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করে কী দেখা গেল?

উত্তরঃ পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করে দেখা গেল, সামনের হলঘরে জনছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট নিয়ে বসে আছে।

২. জনছয়েক বাঙালি কোথায় কাজ করত?

উত্তরঃ জনছয়েক বাঙালি উত্তরব্রষ্মে বর্মা-অয়েল-কোম্পানির তেলের কারখানায় মিস্ত্রির কাজ করত।

৩. সম্মুখে হাজির করা হইল।”—কাকে, কার সামনে হাজির করা হয়?

উত্তরঃ পোলিটিক্যাল সাসপেক্টগিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিককে পুলিশ অফিসার নিমাইবাবুর সামনে হাজির করা হয়।

৪. এইটুকু কাশির পরিশ্রমেই সে হাঁপাইতে লাগিল।”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে পোলিটিক্যাল সাসপেক্টগিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলা হয়েছে।

৫. কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি।”—চোখের দৃষ্টিটি অদ্ভুত কেন?

উত্তরঃ সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের চোখের পরিচয়। দিতে গিয়ে বলা হয়েছেচোখের বর্ণনা দেওয়া বৃথা, তা গভীর জলাশয়ের মতো, সেখানে কী যেন একটা আছে, আর সেখানে কোনো খেলা চলবে না। তার অতলে প্রাণশক্তি লুকানো, মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে ভয় পায়।

৬. মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে সাহস করে না।”—মৃত্যু কোথায় প্রবেশ করতে সাহস করে না?

উত্তরঃ পোলিটিক্যাল সাসপেক্টগিরীশ মহাপাত্র ওরফে সব্যসাচী মল্লিকের চোখের অতল তলে যেখানে তার ক্ষীণ প্রাণশক্তিটুকু লুকানোসেখানে মৃত্যু প্রবেশ করতে সাহস করে না।

৭. দৃষ্টি আকৃষ্ট করিয়া সহাস্যে কহিলেন,”—কে, কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের পোশাকের বাহার ও পারিপাট্যের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকৃষ্ট করে হাসির সঙ্গে পুলিশ অফিসার নিমাইবাবু বললেন—“বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে।

৮. মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।”—কে, কেন হাসি গোপন করে?

উত্তরঃ সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক ভীষণ রকমের অস্বাভাবিক ও হাস্যকর হওয়ায় অপূর্ব সেদিকে তাকিয়ে হাসি গোপন করে।

৯. ইহার আপাদমস্তক অপূর্ব বারবার নিরীক্ষণ করিয়া কহিল ”—অপূর্ব কী বলেছিল?

উত্তরঃ সন্দেহভাজন গিরীশ মহাপাত্রের আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে অপূর্ব বলেছিললোকটিকে নিমাইবাবু কোনো কথা জিজ্ঞেস না-করেই ছেড়ে দিতে পারেন। কারণ যাকে খোঁজা হচ্ছে সে যে এই ব্যক্তি নন, তার জামিন সে হতে পারে।

১০. নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন,”—নিমাইবাবুচুপ থাকায় অপূর্ব কী বলে?

উত্তরঃ নিমাইবাবু চুপ করে থাকলে অপূর্ব বলে, “আর যাই হোক, যাকে খুঁজছেন তাঁর কালচারের কথাটা একবার ভেবে দেখ।।

১১. টিফিনের সময় কারা একসঙ্গে জলযোগ করত?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবীরচয়িা বনদাস ও পূর্ণ টিফিনের সময় একসঙে লযোগ করত।

১২. তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?”—এই প্রশ্নের উত্তরে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ উপ্ত প্রশ্নের উত্তরে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বলেছিলেন—“আজ্ঞে, পথে কুড়িয়ে পেলাম, যদি কারও কাজে লাগে তাই তুলে রেখেছি।

১৩. ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া কহিলেন”—উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ ক্ষণকাল মৌন থেকে নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে বলেন, গাঁজা খাওয়ার সব লক্ষণ তার মধ্যে আছে। তবে কথাটি সে বলতে পারত। তা ছাড়া এই দেহে সে বেশিদিন বাঁচবে বলে মনে হয় না। সে যেন বুড়ো মানুষের কথা শোনে।

১৪. জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন…”-জগদীশবাবু চটে উঠে কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ জগদীশবাবু চটে উঠে বলেছিলেন—“দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী কোথাকার!

১৫. যাঁকে খুঁজছেন তার কালচরের কথাটা একবার ভেবে দেখুন।”—কথাটি কে বলেছে?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবীরচনায় এই কথাটি বলেছে অপূর্ব।

১৬. নিমাইবাবু উঠিয়া দাঁড়াইয়া বলিলেন,”—নিমাইবাবু উঠে দাঁড়িয়ে কী বললেন?

উত্তরঃ নিমাইবাবু উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “আচ্ছা, তুমি এখন যেতে পারো মহাপাত্র। এরপর জগদীশবাবুকে উদ্দেশ্য করেতার যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি আছে কি না জানতে চান।

১৭. আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন। নাকি?”- কে, কখ! এ বা বলেছিলেন?

উত্তরঃ অপূর্বর মধ্যে অত্যন্ত অন্যমনস্কতা লক্ষ করে তলওয়ারকর চিন্তিতমুখে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিলেন।

১৮. বাড়ির খবর সব ভালো তো?”-বক্তা কে? প্রশ্ন শুনে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশের বক্তা তলওয়ারকর। তিনি এ কথা বলেছিলেন অপূর্বকে। প্রশ্ন শুনে অপূর্ব কিছু আশ্চর্য হয়ে বলে—“যতদূর জানি সবাই ভালোই তো আছেন।

১৯. অপূর্বর ঘরে চুরি হলে কার কৃপায় টাকাকড়ি ছাড়া আর সব বেঁচে গেছে ?

উত্তরঃ অপূর্বর ঘরে চুরি হলে এক খ্রিস্টান মেয়ের কৃপায় টাকাকড়ি ছাড়া আর সব বেঁচে গেছে

২০. অপূর্বর হঠাৎ হাসিতে দম আটকে গেল কেন?

উত্তরঃ অপূর্বর হঠাৎ গিরীশ মহাপাত্র ও তার পোশাক-পরিচ্ছদের কথা মনে পড়ায় হাসিতে দম আটকে গেল।

২১. বিনা দোষে ফিরিঙ্গি ছোঁড়ার অপূর্বকে লাথি মেরে কোথা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল?

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবীরচনায় বিনা দোষে ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল।

২২. ফিরিঙ্গিদের অপূর্বকে লাথি মারার ঘটনা শুনে রামদাসের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ অপূর্বকে লাথি মারার ঘটনা শুনে রামদাস চুপ করে থাকে, কিন্তু তার দুই চোখ ছলছল করে আসে।

২৩. বাবুজি, ম্যয় নে আপকো তো জরুর কঁহা দেখা”- কথাটির অর্থ লেখো।

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবীরচনার আলোচ্য পঙক্তিটির অর্থ হলবাবুজি, আমি আপনাকে অবশ্যই কোথাও দেখেছি।

২৪. আশ্চয্যি নেহি হ্যায় বাবু সাহেব, নোকরির বান্তে কেত্তা যায়গায় তো ঘুমতা হ্যায়,”—কথাটির অর্থ লেখো।

উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবীরচনার এই অংশটির অর্থ হল আশ্চর্য নয় বাবুসাহেব, চাকরির খোঁজে কত জায়গায় তো ঘুরতে হয়।

২৫. রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে একদিন সনির্বন্ধ অনুরোধ করে কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে একদিন সনির্বন্ধ অনুরোধ করে বলেছিলেনযতদিন তার মা কিংবা বাড়ির কোনো আত্মীয় মহিলা এদেশে এসে বাসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না-করেন, ততদিন তার তৈরি মিষ্টান্ন তাকে খেতে হবে।

ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান৩)
 

1.গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার বর্ণনা দাও।

2. গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক-পরিচ্ছদের বিবরণ দাও।

3. গিরীশ মহাপাত্রের ট্র্যাকে ও পকেটে কী ছিল?

4.‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্টসব্যসাচী মল্লিককে কার সামনে হাজির করা হয় ? হাজির করা হলে কী দেখা যায় ? ১+২

5. “কেবল আশ্চর্য সেই রোগা মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টি।”—এখানে কার কথা বলা হয়েছে? চোখ দুটি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? ১+২

6.গাঁজার ককের ব্যাপারে গিরীশ মহাপাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশকে কী বলেছিল?

7.“বুড়োমানুষের কথাটা শুনো।”—কে, কাকে উদ্ধৃত কথাটি বলেছেন? এ কথা বলার কারণ কী? ১+২

8. “রাজবিদ্রোহীর চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হইয়া রহিল।”—কার চিন্তায়, কে ধ্যানস্থ। হয়ে রইল? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির স্বরূপ ব্যাখ্যা করো। ১+২

9. তা ছাড়া এত বড়ো বন্ধু!”–‘এত বড়ো বন্ধু কে? এ কথা বলার কারণ কী? ১+২

10. অপূর্বর ঘরে চুরি হয়ে যাওয়ায় খ্রিশ্চান মেয়েটি তাকে কীভাবে সাহায্য করেছিল?

11. “যে দুঃখই থাক আমি আজ থেকে মাথায় তুলে নিলাম।”—বক্তা কে? এ কথা বলার কারণ কী? ১+২

12. অপূর্বর ঘরে চুরি হয়ে যাওয়ার জন্য সে কাকে, কেন সন্দেহ করে?

13. তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।”—কে, কাকে উদ্ধৃত কথাটি বলেছিল ? কখন এ কথা বলেছিল?

14.অপূর্বর অফিসের বড়োসাহেব অপূর্বকে কী বলেছিলেন ?

15. ট্রেনের মধ্যে অপূর্বর সঙ্গে পুলিশ কীরূপ ব্যবহার করেছিল?

16. “এই অন্যায়ের প্রতিবাদ যখন করতে গেলাম…”—কোন্ অন্যায় ? তার প্রতিবাদ করায় কী হয়েছিল?

রচনাধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান ৫)
 

১. পথের দাবীরচনাংশটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

২. পথের দাবীরচনাংশটির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।

৩. পথের দাবীরচনাংশটির মধ্যে লেখকের সমাজচেতনার পরিচয় দাও।

৪. পথের দাবীরচনাংশ অনুসরণে গিরীশ মহাপাত্রের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

৫. পথের দাবীরচনাংশ অনুসরণে অপূর্বর চরিত্র বর্ণনা করো।

৬. পথের দাবীরচনায় অপ্রধান চরিত্রগুলি লেখো।

৭. পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল।”—নিমাইবাবু কে? সব্যসাচী মল্লিককে কখন নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হয়েছিল? সব্যসাচীর চেহারার বর্ণনা দাও। ১+২+২

৮. একেবারে যেন বিচ্ছিন্ন হইয়া কোন এক অদৃষ্ট অপরিজ্ঞাত রাজবিদ্রোহীর। চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হইয়া রহিল।কে ধ্যানস্থ হয়ে রইল? ‘রাজবিদ্রোহীকে? অপরিজ্ঞাত কেন? কথাটির তাৎপর্য লেখো। ১+১+১+২

৯. কিন্তু ইহা যে কতবড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল।”—‘সেবলতে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ প্রসঙ্গে এই কথা বলা হয়েছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। ১+২+২

১০. পরোধর্ম ভয়াবয়। লল্লাটের লেখা তো খণ্ডাবেনা।”– এই কথা কে, কাকে বলেছে? কখন বলেছে? কথাটির মমার্থ লেখো। ১+২+২

১১. দয়ার সাগর। পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী কোথাকার।” -কে, কাকে এই কথাটি বলেছে? কখন বলেছে? কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো। ১+২+২

১২. তাছাড়া এত বড়ো বন্ধু।”- কে, কাকে এই কথা বলেছে? কার সম্পর্কে বলেছে? সে বড়ো বন্ধু কেন? এই উক্তির মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন দিকটি পরিস্ফুট হয়েছে? ১+১+১+২

১৩. আজ্ঞে, পথে কুড়িয়ে পেলাম, যদি কারও কাজে লাগে তাই তুলে রেখেচি।”—এই কথাটি কে, কাকে বলেছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। উক্তিটির মধ্যে বক্তার চরিত্রের কোন্ দিকটি ফুটে উঠেছে? ১+২+২

১৪. অপূর্ব রাজি হইয়াছিল।”—অপূর্ব কীসে রাজি হয়েছিল? কেন রাজি হয়েছিল? উক্তিটির মর্মার্থ লেখো। ১+২+২

১৫. ইচ্ছা করলে আমি তোমাকে টানিয়া নীচে নামাইতে পারি।”—কে, কাকে বলেছে? কেন বলেছে? কথাটির তাৎপর্য লেখো। ১+২+২

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন (প্রশ্নমান ১) 


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

কারক-বিভক্তি

১. পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল”—রেখাঙ্কিত পদটি

(ক) কর্মকারকে বিভক্তি (খ) করণকারকে বিভক্তি (গ) অপাদান কারকে বিভক্তি (ঘ) অধিকরণ কারকে বিভক্তি

উত্তরঃ (ঘ)

২. কয়েকদিনের জাহাজের ধকলে সমস্তই ননাংরা হইয়া উঠিয়াছে,”–রেখাঙ্কিত পদটি

(ক) সম্বন্ধপদে এরবিভক্তি (খ) নিমিত্ত কারকে এরবিভক্তি (গ) সম্বোধন পদে এরবিভক্তি (ঘ) কর্মকারকে এরবিভক্তি

উত্তরঃ (ক)

৩. আজ্ঞে, গিরীশ মহাপাত্র।”—রেখাঙ্কিত পদটি

(ক) কর্তৃকারকে বিভক্তি (খ) সম্বন্ধপদে বিভক্তি (গ) সম্বোধন পদে বিভক্তি (ঘ) সম্বোধন পদে শূন্যবিভক্তি

উত্তরঃ (ঘ)

৪. বাবাই একদিন এর চাকরি করে দিয়েছিলেন।”—রেখাঙ্কিত পদটি

(ক) কর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি (খ) কর্তৃকারকে বিভক্তি (গ) কর্মকারকে বিভক্তি (ঘ) করণকারকে বিভক্তি

উত্তরঃ (খ)

৫. দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই।”-রেখাঙ্কিত পদটি

(ক) কর্তৃকারকে য়বিভক্তি (খ) কর্মকারকে য়বিভক্তি (গ) করণকারকে য়বিভক্তি (ঘ) অধিকরণ কারকে য়বিভক্তি

উত্তরঃ (গ)

৬. তুমি একবার সবগুলো দেখে আসো।”—রেখাঙ্কিত পদটি

(ক) কর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি (খ) কর্তৃকারকে গুলো বিভক্তি (গ) কর্মকারকে শূন্যবিভক্তি (ঘ) কর্মকারকে গুলোবিভক্তি

উত্তরঃ (গ)

সমাস

৭. ইহারই কোন অতল তলে তাহার ক্ষীণ প্রাণশক্তিটুকু লুকানো আছে,—“প্রাণশক্তিসমাসবদ্ধ পদের ব্যাসবাক্য হবে

(ক) প্রাণরূপ শক্তি (খ) প্রাণ হইতে নির্গত শক্তি (গ) প্রাণে স্থিত শক্তি (ঘ) প্রাণের শক্তি

উত্তরঃ (ক)

৮. তাহার বুক-পকেট হইতে বাঘ-আঁকা একটা রুমালের কিয়দংশ দেখা যাইতেছে,”–বুক-পকেট’—সমাসবদ্ধ পদের ব্যাসবাক্য বুকে স্থিত পকেটহলে তার সমাস হবে

(ক) সাধারণ কর্মধারয় (খ) ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি (গ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় (ঘ) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

উত্তরঃ (গ)

৯. এত বড়ো সব্যসাচী ধরা পড়িল না,”–‘সব্যসাচীপদের ব্যাসবাক্য

(ক) যার দু-হাত সমান চলে (খ) সব্য সচন যার (গ) সব্য সচন করে যে (ঘ) সব্য দ্বারা সচন

উত্তরঃ (গ)

১০. এক অদৃষ্ট অপরিজ্ঞাত রাজবিদ্রোহীর চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হইয়া রহিল।”–‘রাজবিদ্রোহীশব্দের যথার্থ ব্যাসবাক্য

(ক) রাজার বিদ্রোহী (খ) বিদ্রোহীদের রাজা (গ) বিদ্রোহীদের বিদ্রোহ (ঘ) রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যে

উত্তরঃ (ঘ)

১১. গিরীশ শশব্যস্তে একটা নমস্কার করিয়া কহিল,”–শশব্যস্তশব্দের যথার্থ ব্যাসবাক্য।

(ক) শশকের ব্যস্ত (তাতে) (খ) শশকের মতো ব্যস্ত (তাতে) (গ) শশক ব্যস্ততার ন্যায় (ঘ) শশকরূপ ব্যস্ত তাতে

উত্তরঃ (খ)

১২. তাহার সমস্ত মনশ্চক্ষু একেবারে উধাও হইয়া গিয়াছে।”—‘মনশ্চক্ষ পদের ব্যাসবাক্য

(ক) মনের চক্ষু (খ) মন ও চক্ষু (গ) মনরূপ চক্ষু (ঘ) মন চক্ষুর ন্যায়

উত্তরঃ (গ)

বাক্য

১৩. শুধু যে লোকটির প্রতি তাহার অত্যন্ত সন্দেহ হইয়াছে তাহাকে আর একটা ঘরে আটকাইয়া রাখা হইয়াছে।”—উদ্ধৃত বাক্যটি

(ক) সরলবাক্য (খ) জটিল বাক্য (গ) যৌগিক বাক্য (ঘ) মিশ্র বাক্য

উত্তরঃ (খ)

১৪. দেখি তোমার ট্যাকে এবং পকেটে কী আছে?”—বাক্যটি

(ক) নির্দেশক বাক্য (খ) প্রার্থনাসূচক বাক্য (গ) সন্দেহবাচক বাক্য (ঘ) প্রশ্নবাচক বাক্য

উত্তরঃ (ঘ)

১৫. আর খেয়ো না। বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।”—বাক্যটি

(ক) নির্দেশক বাক্য (খ) সন্দেহবাচক বাক্য (গ) অঙবাচক বাক্য (ঘ) প্রার্থনাসূচক বাক্য

উত্তরঃ (গ)

১৬. নেবুর তেলের গন্ধে ব্যাটা থানাসদ্ধ লোকের মাথা ধরিয়ে দিলে।”-বাক্যটি

(ক) আবেগসূচক বাক্য (খ) নির্দেশক বাক্য (গ) প্রশ্নাত্মক বাক্য (ঘ) সন্দেহমূলক বাক্য

উত্তরঃ (খ)

১৭. আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি?”—বাক্যটি

(ক) নির্দেশক বাক্য (খ) প্রশ্নাত্মক বাক্য (গ) সন্দেহমূলক বাক্য (ঘ) অনুজ্ঞামুলক বাক্য

উত্তরঃ (খ)

১৮. আমার ইচ্ছা তুমি একবার সবগুলো দেখে আসো।”—বাক্যটি

(ক) নির্দেশক বাক্য (খ) আবেগসূচক বাক্য (গ) ইচ্ছাবোধক বাক্য (ঘ) অনুজ্ঞাবাচক বাক্য

উত্তরঃ (খ)

বাচ্য

১৯. পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককেনিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল।বাক্যটি

(ক) কর্তৃবাচ্যের (খ) কর্মবাচ্যের (গ) ভাববাচ্যের (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্যের

উত্তরঃ (গ)

২০. অপূর্ব তাহার পরিচ্ছদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।”—বাক্যটি

(ক) কর্মবাচ্যের (খ) কর্তৃবাচ্যের (গ) ভাববাচ্যের (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্যের

উত্তরঃ (খ)

২১. কোনো এক অদৃষ্ট অপরিজ্ঞাত রাজবিদ্রোহীর চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হইয়া রহিল।”—বাক্যটি

(ক) কর্তৃবাচ্যের (খ) কর্মবাচ্যের (গ) ভাববাচ্যের (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্যের

উত্তরঃ (ক)

২২. রামদাস আর কোনো প্রশ্ন করিল না।”—বাক্যটি

(ক) কর্মবাচ্যের (খ) ভাববাচ্যের (গ) কর্মকর্তৃবাচ্যের (ঘ) কর্তৃবাচ্যের

উত্তরঃ (ঘ)

২৩. কোথায় আগমন হচ্ছে?”—বাক্যটি

(ক) কর্তৃবাচ্যের (খ) ভাববাচ্যের (গ) কর্মবাচ্যের (ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্যের

উত্তরঃ (ঘ)

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান ১)
 

কারক-বিভক্তি

১. সুমুখের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট লইয়া বসিয়া আছে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।

উত্তরঃ হলঘরেঅধিকরণ কারকে বিভক্তি।

২. সেখানের জলহাওয়া সহ্য না হওয়ায় চাকরির উদ্দেশ্যে রেঙ্গুনে চলিয়া আসিয়াছে।” –‘জলহাওয়াপদটির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।

উত্তরঃ জলহাওয়া কর্মকারকে শূন্যবিভক্তি।

৩. ভিতরের কী একটা দুরারোগ্য রোগে সমস্ত দেহটা যেন দ্রুতবেগে ক্ষয়ের দিকে ছুটিয়াছে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।

উত্তরঃ দুরারোগ্য রোগেকরণকারকে বিভক্তি।

৪. বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?

উত্তরঃ বাবুটিরকর্মকারকে বিভক্তি।

৫. কাকাবাবু, এ লোকটিকে আপনি কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন।” —নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।

উত্তরঃ কাকাবাবুসম্বোধন পদে শূন্যবিভক্তি।

৬. রামদাস আর কোনো প্রশ্ন করিল না।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।

উত্তরঃ রামদাসকর্তৃকারকে শূন্যবিভক্তি।

৭. বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির কারক-বিভক্তি লেখো।

উত্তরঃ চাকরি-কর্মকারকে শূন্যবিভক্তি প্ল্যাটফর্মঅপাদান কারকে থেকেঅনুসর্গ।

৮. ফিরিঙ্গি ছোঁড়ারা আমাকে যখন লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বার করে দিলে…–‘প্ল্যাটফর্ম পদটির কারক বিভক্তি কী হবে?

উত্তরঃ প্ল্যাটফর্মঅপাদান কারকে থেকেঅনুসর্গ।

আপাতত ভামো যাচ্ছি।”–‘ভামোপদটির কারক-বিভক্তি কী হবে?

উত্তরঃভামোঅধিকরণ কারকে শূন্যবিভক্তি।

১০. সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইলে সে পিরানের মধ্যে হইতে পৈতা বাহির করিয়া বিনা জলেই সায়ংসন্ধ্যা সমাপন করিল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদগুলির কারক-বিভক্তি নির্দেশ করো।

উত্তরঃ সন্ধ্যাঅধিকরণ কারকে শূন্যবিভক্তি।

পরানের মধ্যেঅপাদান কারকে হইতেঅনুসর্গ।

সমাস

১১. সুমুখের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি মোট-ঘাট লইয়া বসিয়া আছে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ মোট-ঘাট-মোট ও ঘাট (দ্বন্দ্ব সমাস)।

১২. গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো।

উত্তরঃ রামধনুরামের ধনু (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)।

১৩. তলাটা মজবুত ও টিকসই করিতে আগাগোড়া লোহার নাল বাঁধানো।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ আগাগোড়াআগা থেকে গোড়া পর্যন্ত (অব্যয়ীভাব সমাস)।

১৪. ইহার আপাদমস্তক অপূর্ব বারবার নিরীক্ষণ করিয়া কহিল”—“আপাদমস্তকপদটির সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ আপাদমস্তকপা থেকে মাথা পর্যন্ত (অব্যয়ীভাব সমাস)।

১৫. কাকাবাবু, এ লোকটিকে আপনি কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ কাকাবাবুযিনি কাকা, তিনিই বাবু (কর্মধারয় সমাস)।

১৬. নিমাইবাবু কহিলেন, তুমি গাঁজা খাও?”–‘নিমাইবাবুপদটি কোন্ সমাসের উদাহরণ?

উত্তরঃ নিমাইবাবুনিমাই যে বাবু (কর্মধারয় সমাস)।

১৭. মহাপাত্র মাথা নাড়িয়া অস্বীকার করিল।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ অস্বীকারনয় স্বীকার (নঞ তৎপুরুষ সমাস)।

১৮. কেবল উপরের সেই ক্রিশ্চান মেয়েটির কৃপায় টাকাকড়ি আর সমস্ত বাঁচিয়াছে।”—“টাকাকড়িপদটির সমাস নির্দেশ করো।

উত্তরঃ টাকাকড়িটাকা ও কড়ি (দ্বন্দ্ব সমাস)।

১৯. যে-কোনো যুগে যে কেউ জন্মভূমিকে তার স্বাধীন করবার চেষ্টা করছে।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ জন্মভূমিজন্মের ভূমি (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)।

২০. আজ্ঞে, গিরীশ মহাপাত্র।”—নিম্নরেখাঙ্কিত পদটির সমাস নির্ণয় করো।

উত্তরঃ মহাপাত্রমহান যে পাত্র (কর্মধারয় সমাস)।

বাক্য

২১. বয়স ত্রিশ-বত্রিশের অধিক নয়, কিন্তু ভারী রোগা দেখাইল।”—সরলবাক্যে পরিণত করো।

উত্তরঃ বয়স ত্রিশ-বত্রিশের অধিক না হলেও ভারী রোগা দেখাইল।

২২. এতক্ষণে অপূর্ব তাহার পরিচ্ছদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।”-যৌগিক বাক্যে পরিবর্তন করো।

উত্তরঃ এতক্ষণে অপূর্ব তাহার পরিচ্ছদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিল এবং মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।

২৩. তাহার মাথার সম্মুখদিকে বড়ো বড়ো চুল।”-না-বাচক বাক্যে লেখো।

উত্তরঃ তাহার মাথার সম্মুখদিকে ছোটো ছোটো চুল নয়।

২৪. কয়দিনের জাহাজের ধকলে সমস্তই নোংরা হইয়া উঠিয়াছে।”-জটিল বাক্যে রূপ দাও।

উত্তরঃ কয়দিনের জাহাজের যে ধকল তাহাতে সমস্তই ননাংরা হইয়া উঠিয়াছে।

২৫. বড়োবাবু হাসিতে লাগিলেন।”—না-বাচক বাক্যে রূপান্তর করো।

উত্তরঃ বড়োবাবু কাদিতে লাগিলেন না।

২৬. অপূর্বর মন যেন গ্রাহ্যই করিল না।”—হা-বাচক বাক্যে পরিবর্তন করো।

উত্তরঃ অপূর্বর মন যেন অগ্রাহ্যই করিল।

২৭. রামদাস আর কোনো প্রশ্ন করিল না।”—প্রশ্নবোধক বাক্যে কী হবে?

উত্তরঃ রামদাস আর কোনো প্রশ্ন করিল কি?

২৮. টিফিনের সময় উভয়ে একত্রে জলযোগ করিত।”—জটিল বাক্যে রূপ দাও।

উত্তরঃ যখন টিফিনের সময় হইত তখন উভয়ে একত্রে জলযোগ করিত।

২৯. আত্মীয়ের সম্বন্ধে এরূপ একটা মন্তব্য প্রকাশ করা হয়তো শোভন হয়া নাই।”—হ্যা-বাচক বাক্যে লেখো।

উত্তরঃ আত্মীয়ের সম্বন্ধে এরূপ একটা মন্তব্য প্রকাশ করা হয়তো অশোভন হইয়াছিল।

৩০. রামদাস চুপ করিয়া রহিল।”—না-বাচক বাক্যে রূপ দাও।

উত্তরঃ রামদাস কোনো কথা বলিল না।

বাচ্য

৩১. পুলিশ-স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল।”–কর্তৃবাচ্যে লেখো।

উত্তরঃ (আমি) পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম।

৩২. ইহারা সকলেই উত্তর-ব্রষ্মে বর্মা-অয়েল-কোম্পানির তেলের খনি কারখানায় মিস্ত্রির কাজ করিতেছিল।”—ভাববাচ্যে রূপ কী হবে?

উত্তরঃ ইহাদের সকলেরই উত্তর-ব্ৰষ্মে-বর্মা-অয়েল-কোম্পানির তেলের খনির _ কারখানায় মিস্ত্রির কাজ করা হইয়াছিল।

৩৩. লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল।”—ভাববাচ্যে লেখো।

উত্তরঃ লোকটির কাশিতে কাশিতে আসা হইল।

৩৪. নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন।”—কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো।

উত্তরঃ নিমাইবাবু চুপ করিলেন।

৩৫. আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পেয়েছেন নাকি?”–কর্মবাচ্যে রূপান্ত করো।

উত্তরঃ আজ বাড়ি থেকে কোনো চিঠি পাওয়া হয়েছে নাকি?

৩৬. রামদাস আর কোনো প্রশ্ন করিল না।”—কর্মবাচ্যে রূপ লেখো।

উত্তরঃ রামদাস কর্তৃক আর কোনো প্রশ্ন করা হইল না।

৩৭. আফিসের একজন ব্রাক্ষ্মণ পিয়াদা এই সকল বহিয়া আনিত।”—কর্মবাচ্যে পরিবর্তন করো।

উত্তরঃ আফিসের একজন ব্রাক্ষ্মণ পিয়াদা কর্তৃক এই সকল বহিয়া আনা হইত।

৩৮. তারপর সকালে গেলাম পুলিশে খবর দিতে।”–কর্মবাচ্যে লেখো।

উত্তরঃ তারপর সকালে পুলিশে খবর দিতে যাওয়া হল।

৩৯. বাবাই একদিন এর চাকরি করে দিয়েছিলেন।”—কর্মবাচ্যে পরিণত করো।

উত্তরঃ বাবার দ্বারাই একদিন এর চাকরি হয়েছিল।

৪০. রামদাস চুপ করিয়া রহিল।”—ভাববাচ্যে লেখো।

উত্তরঃ রামাদাসের চুপ করিয়া থাকা হইল।

 


Post a Comment

0 Comments