উঃ- 'বহুরূপী' গল্পে হরিদা অর্থ উপার্জনের জন্য বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন । হরিদার বেশভূষা, কথাবার্তায় জগদীশবাবু মুগ্ধ হয়ে 'বিরাগী'কে আতিথ্য গ্রহণের অনুরোধ জানান এবং বিদায়ের সময়ে একশো টাকা প্রনামী দিতে চান । কিন্তু হরিদা উদাসীনভাবে সে টাকা প্রত্যাখ্যান করে চলে যান । যাওয়ার সময় বলে যান— "আমি যেমন অনায়াসে ধুলো মাড়িয়ে চলে যেতে পারি, তেমনিই অনায়াসে সোনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি ।" সন্ন্যাসী চরিত্রের সঙ্গে তিনি এতটাই একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন যে চরিত্রের 'ঢং নষ্ট হবে' বলে হরিদা টাকা নেননি । বিস্মিত গল্পকথক এটাকেই হরিদার 'ভুল' বলেছেন ।
♦ অভাবী হরিদার ভাগ্য হরিদাকে সঙ্গ দিতে চেয়েছিল । কিন্তু ব্যক্তিগত
সততা ও আদর্শবোধের কারণে হরিদা ভাগ্যের সহায়তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন । যা
নিশ্চিত করে দিয়েছে যে অভাব কখনও হরিদাকে ছেড়ে যাবে না । তার ভাতের হাঁড়িতে
মাঝে মধ্যে শুধু জলই ফুটবে, তাতে চালের জোগান থাকবে না । কথকের মনে হয়েছে অদৃষ্ট
কখনও হরিদার এই ভুলকে ক্ষমা করবে না ।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box