উত্তর: আলোচ্য উদ্ধৃতি টি সুবোধ ঘোষের বহুরুপি গল্পে বর্ণিত রয়েছে, এখানে হরিদার কথা বলা হয়েছে। তিনি একেবারে খাঁটি সন্ন্যাসীর মতো সাজ সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি গিয়েছিলেন।
হরিদা খাঁটি সন্ন্যাসীর মত
আদুড় গা, তার উপর ধবধবে সাদা উত্তরীয়, ছোট বহরের একটি সাদা থান পড়ে একেবারে
খাঁটি সন্ন্যাসীর মত সেজে জগদীশ বাবুর বাড়ি যান। সন্ন্যাসী জগদীশ বাবুর বাড়িতে
আসে এবং জগদীশ বাবু সন্ন্যাসীর সেবা করার সকল প্রচেষ্টা করেন। বিরাগীর পা স্পর্শ
করার জন্য জগদীশ বাবুর হাত দুটো ছটফট করছিল। সন্ন্যাসী জগদীশ বাবুকে কিছু উপদেশ
দেন এবং চলে যাওয়ার কথা বলেন। সেই সময় জগদীশ বাবু বিরাগীকে একটা মিনিট দাঁড়াতে
বলেন। জগদীশবাবু একটি থলি আনে যার মধ্যে নোটের তারা। সেই থলিটি বিরাগীর পায়ের
কাছে রেখে দেন এবং ব্যাকুল ভাবে প্রার্থনা করেন- “এই প্রণামী, এই সামান্য একশো এক
টাকা গ্রহণ করে আমাকে শান্তি দান করুন বিরাগীজি।” কিন্তু বিরাগীজি একশো এক টাকার
থলিটির দিকে না তাকিয়ে সিড়ি থেকে নেমে গেলেন। তিনি জগদীশ বাবুর দেওয়া টাকা টার
দিকে তাকালেন না। একজন সত্য় বিরাগী সন্ন্যাসী যেমন টাকা, ধনকে ত্যাগ করে দেয় ঠিক
তেমনি সন্ন্যাসীর মান রক্ষার্থে সেই টাকাকে এড়িয়ে চলে আসেন।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box