উঃ ঔপনিবেশিক শাসনে যে কোনো বিরোধিতার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঘোরতর হয়ে উঠলে প্রয়োজন গড়ত সেনাবাহিনীর । ফলে ভারতে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সমানুপাতিকভাবে বেড়ে উঠেছিল কোম্পানির সেনাবাহিনী । গোড়া থেকেই স্থায়ী সেনাবাহিনী তৈরির ক্ষেত্রে ব্রিটিশরা মুঘল সেনা নিয়োগের পরম্পরা অনুসরণ করেছিল । সেনাবাহিনীতে সিপাহি নিয়োগের মাধ্যমে কোম্পানির রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল । কোম্পানির হয়ে এলাকা দখল করার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সিপাহিদের প্রধান কাজ ছিল বিভিন্ন বিদ্রোহের মোকাবিলা করা । ঔপনিবেশিক শাসনের গোড়ার দিকে সেনাবাহিনীতে প্রচলিত জাতভিত্তিক ধারণাগুলির বিরোধিতা ব্রিটিশ কোম্পানি করেননি । ফলে সিপাহি বাহিনীতে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ ও রাজপুত কৃষকরা সহজেই জায়গা করে নিয়েছিল । এইসব লোকেরা সিপাহিবাহিনীতে যোগ দিয়ে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা ও বেতন পেত ফলে সিপাহিবাহিনীতে জাতভিত্তিক মনোভাব দেখা দিতে শুরু করে । ১৮২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সিপাহিবাহিনীর কাঠামোর বেশকিছু বদল দেখা দিতে থাকে । মারাঠা , নেপালি , গুর্খা ও মহীশুর অঞ্চলের পাহাড়ি উপজাতিদের বাহিনীতে নিয়োগ করা শুরু হয় । ফলে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ ও রাজপুত কৃষকদের সুযোগ সুবিধা কমতে থাকে তার জন্য সিপাহিবাহিনীতে একটা অসন্তোষ তৈরি হতে থাকে ।
ঔপনিবেশিক শাসনে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হয়েছিল কেন ? সেনাবাহিনীতে জাতিভিত্তিক মনোভাব ও অসন্তোষ কীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল ?
About the Author
This site was launched on March 1, 2019. Today it is appreciated by millions of students. This site has changed a lot in the last two years and I have tried to do better every time.