দুই বন্ধুর মধ্যে শরীরচর্চার উপযোগিতা নিয়ে সংলাপ:
বন্ধু ১: কিরে, সকাল সকাল পার্কে কী করছিস?
বন্ধু ২: আরে, আমি তো প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা করতে আসি। তুই কী করছিস এখানে?
বন্ধু ১: আমি তো শুধু হাঁটতে এসেছি। কিন্তু তুই যে প্রতিদিন শরীরচর্চা করিস, এটা কি সত্যিই এত উপকারী?
বন্ধু ২: অবশ্যই উপকারী! শরীরচর্চা করলে শরীর সুস্থ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, আর মনও ভালো থাকে।
বন্ধু ১: তাই নাকি? কিন্তু এত সকালে ওঠা তো খুব কষ্টকর লাগে!
বন্ধু ২: প্রথমদিকে একটু কষ্ট হয়, তবে অভ্যাস হয়ে গেলে সহজ হয়ে যায়। শরীরচর্চা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী।
বন্ধু ১: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য? সেটা কীভাবে?
বন্ধু ২: শরীরচর্চা করলে দেহে এন্ডরফিন নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।
বন্ধু ১: ও আচ্ছা! তবে পড়াশোনার চাপে সময় পাওয়া যায় না।
বন্ধু ২: সময় বের করতে হয়। মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেও শরীর ফিট থাকে। এতে পড়াশোনায়ও মনোযোগ বাড়ে।
বন্ধু ১: শুনে ভালো লাগছে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তো শরীরচর্চা দরকার, তাই না?
বন্ধু ২: একদম। স্থূলতা কমায়, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে, আর রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
বন্ধু ১: বুঝলাম। তুই তো শরীরচর্চার অনেক উপকারিতা জানিস! আমি কাল থেকে তোর সাথে শরীরচর্চা করতে আসব।
বন্ধু ২: খুব ভালো সিদ্ধান্ত! চল, আমরা সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করি এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করি।
বন্ধু ১: ঠিক বলেছিস। সুস্থ দেহে সুস্থ মন—এটাই হোক আমাদের মূলমন্ত্র!