উত্তর : শিখন কাকে বলে এবিষয়ে বলতে গিয়ে মনােবিজ্ঞানী উডওয়ার্থ বলেছেন,
শিখন হচ্ছে সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা নিজ আচরণে এধরনের পরিবর্তন আনতে পারি যা পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের সম্পর্কগুলিকে উন্নত করে।
মনােবিদ ম্যাকডুগালের অভিমত, উদ্দেশ্য পূরণের সহায়ক উপায় খুঁজে বের করার ক্ষমতা অর্জনকেই বলে শিখন।
আবার, মনােবিজ্ঞানী থর্নডাইকের মতে, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যথাযথ সম্পর্ক স্থাপন করে শিখন প্রক্রিয়া। সব মিলিয়ে, যে মানসিক প্রক্রিয়া অতীত অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের প্রভাবে আচরণ ধারায় পরিবর্তন এনে ব্যক্তির মানসিক জড়তা দূর করে তাকে পরিবর্তনশীল পরিবেশে মানিয়ে নিতে সহায়তা করে, সেটাই শিখন।
■ শিখনের বৈশিষ্ট্য : শিখনের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হলাে : ----
1) উদ্দেশ্যমুখী: প্রতিটি কাজের উদ্দেশ্য আছে বলেই আমরা শিখনের জন্য আগ্রহ অনুভব করি।
2) বিকাশমান :শিখন হলােক্রমবিকাশমান পদ্ধতি। আমৃত্যু চলতে থাকে শিখনের প্রক্রিয়া।
3) অভিযােজন : শিখন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে শেখে। কারণ সার্থক অভিযােজনের উদ্দেশ্যই শিখন।
4) চাহিদা নির্ভর :শিখন প্রক্রিয়া চাহিদা নির্ভর। অর্থাৎ চাহিদাপূরণ শিখনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
5) আচরণগত পরিবর্তন : ব্যক্তি যে কোনাে সমস্যায় পড়লে, পূর্বাৰ্জিত আচরণের মাধ্যমে তা মেটাবার চেষ্টা করে।
6) স্থায়ী পরিবর্তন : শিখন-জাত পরিবর্তন সাময়িক নয়, এটা স্থায়ী প্রকৃতির।
7) পরিবেশ নির্ভর : মানুষ পরিবেশ থেকেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে। উপযুক্ত পরিবেশ শিখনকে ত্বরান্বিত করে।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box