উত্তর : বংশধারা ও পরিবেশগত কারণে নানা চাহিদা সৃষ্টি হয়। চাহিদাপূরণের তাগিদে মানুষ নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। লক্ষ্যপূরণের পথে আসে নানা বাধা। বাধা অতিক্রম করার পথে ব্যক্তি নানা প্রতিক্রিয়ার মধ্য থেকে সঠিক প্রতিক্রিয়াটি নির্বাচন করে। এভাবে সঠিক প্রতিক্রিয়া নির্বাচন করে লক্ষ্যপূরণ করতে গিয়ে ব্যক্তি সমস্যা সমাধানের যে কৌশলটি আয়ত্ত করে তাকে বলে সমস্যা সমাধানমূলক শিখন কৌশল। এপ্রসঙ্গে মনােবিদ গেটস বলেছেন, সমস্যা সমাধান হলাে এক বিশেষ ধরনের শিখন কৌশল যেখানে শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়াটি আবিষ্কার করতে হয়।
সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন স্তর : সমস্যা সমাধানমূলক শিখনের স্তরগুলি নিম্নরূপঃ
1) সমস্যার সম্মুখীন হওয়া : চাহিদার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানমূলক শিখন শুরু হয়। এই চাহিদার কারণ দুটি। কোনাে ব্যক্তি বা কোনাে পরিস্থিতির জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তি নিজেও সমস্যাটি অনুভব করতে পারে।
2) সমাধান খোঁজা : ব্যক্তি সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে এটি বিশ্লেষণ ও সমস্যা নির্দিষ্ট করে। এবার সে সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য কয়েকটি উপায় স্থির করে। এসবের মধ্য থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোৎকৃষ্ট উপায়টি নির্দিষ্ট করা হয়।
3) সমস্যার সমাধান :একপর্যায়ে পৌঁছে সমস্যা সমাধানের পথে থাকা সব বাধা দূর হয় এবং সমস্যার সমাধান ঘটে। কখনাে কখনাে সমস্যা সমাধানের উপায়টি হঠাৎই দেখা দেয়।
4) যাচাই করা : কখনাে কখনাে সমাধানটির যথার্থতা বিচার করার প্রয়ােজন হয়। তখন মনে হয় যে উপায়ে সমাধান হয়েছে তা আরাে সহজ ও সংক্ষেপ করা চলে।