উঃ পৃথিবী বায়ুমন্ডলের উপরের অংশে ওজোন গ্যাসের স্তর আছে। এই ওজোনস্তর অতিবেগুনী রশ্মিকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়। ফলে আমরা সুরােক্ষিত আছি। কিন্তু মানুষের কিছু অপরিণামদর্শী কাজের ফলে ক্ষতিকারক গ্রীণ হাউস গ্যাস সৃষ্টি হয়। এই গ্রীণ হাউস গ্যাসগুলি (ক্লোরােফ্লুরাে কার্বন, মিথেন, কার্বন ডাই অক্সাইড) ওজোন স্তরে গহ্বরের সৃষ্টি করেছে। ফলে এই ছিদ্র পথে ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ছে। তাই এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এছাড়া সূর্যালােক আমাদের চামড়ায় মেলােনিন নামে এক প্রকার রঞ্জক পদার্থ তৈরী করে। মেলােনিন অতিবেগুনী রশ্মিকে শােষণ করে চামড়ার নীচের কোষগুলিকে বাঁচিয়ে দেয়। যেখানে সূর্যরশ্মি প্রখর সেখানকার মানুষের চামড়ায় মেলােনিনের পরিমাণও খুব বেশী। মেলােনিন বেশী থাকলে চামড়া বাদামী বা কালাে হয়। তাই সাদা চামড়ার মানুষদের অতিবেগুনী রশ্মিতে ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা বেশী।