উঃ তপশিলি জাতি (SC) ও তপশিলি উপজাতি (ST)-র শিক্ষার উন্নয়নে কোঠারি কমিশন ও জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নীচে এ সম্পর্কে আলােচনা করা হলো ।
■ কোঠারি কমিশনের সুপারিশ :
1) বর্তমানে SC ও ST শিক্ষার্থী যেসব সুযােগসুবিধা পাচ্ছে তা বহাল থাকবে এবং তাদের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে।
2) যাযাবর ও অর্ধ যাযাবরদের শিক্ষার সুযােগ বৃদ্ধির সুপারিশ।
3) লােকবসতি অত্যন্ত কম এমন স্থানে আশ্রম বিদ্যালয় স্থাপন।
4) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসন ও কোচিংয়ের ব্যবস্থা।
5) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা।
6) উপজাতিদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও শিক্ষোপকরণ প্রদানের ব্যবস্থা।
7) উপজাতি সম্প্রদায়ের সেবায় পৃথক সংগঠন তৈরির সুপারিশ।
8) শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা।
■ তপশিলি জাতির শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ :
1) ১৪ বছর বয়েসি সব ছেলে-মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠানাের জন্য পরিবারগুলিকে উৎসাহদানের ব্যবস্থা করা।
2) সুবিধাজনক স্থানে বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা। 3) দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পঠনপাঠনের জন্য বৃত্তিদানের ব্যবস্থা।
4) তপশিলি বিদ্যালয়ে ঐ সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়ােগ।
5) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ।
■ তপশিলি উপজাতির শিক্ষার প্রসারে জাতীয় শিক্ষানীতির সুপারিশ :
1) প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব ভাষায় শিক্ষাদান ও শিক্ষোপকরণ তৈরি করা।
2) উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যালয় স্থাপন।
3) উপজাতি সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়ােগ ও শিক্ষায় উৎসাহ প্রদান।
4) প্রয়ােজন অনুপাতে আবাসিক ও আশ্রমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা।
5) প্রয়ােজন ও জীবনচর্চার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে উচ্চশিক্ষায় বৃত্তিপ্রদানের সুপারিশ।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার প্রসার ও অন্যান্য সুযােগসুবিধার কথা বলা হয়েছে। তাই এক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।