ভূমিকা : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রকে ঢেলে সাজানাে এবং জাতীয় শিক্ষানীতির পরিকাঠামাে ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন ও কমিটি গড়ে তােলা হয়। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কমিশন, মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন ইত্যাদি। ড. এ. লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়য়ের সভাপতিত্বে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গড়ে ওঠে, ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে এই কমিশন মুদালিয়র কমিশন নামেই অধিক পরিচিত।
পাঠক্রম : মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের মতে, প্রচলিত মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রমের সঙ্গে বাস্তবের সংযােগ অত্যন্ত ক্ষীণ। তাই এই পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনের চাহিদাগুলি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
মুদালিয়র কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষায় যে সকল পাঠক্রমের সুপারিশ করেছে তা এইরূপ ---
1) নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে পাঠক্রম : নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের যে বিষয়গুলি পড়তে হবে সেগুলি এইরূপ—ভাষা, সাধারণ বিজ্ঞান, সামাজিক শিক্ষা, বাংলার হাতের কাজ, শিল্প ও শারীরশিক্ষা।
2) উচ্চ মাধ্যমিক : কমিশন উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর পছন্দ, আগ্রহ ও ক্ষমতা অনুসারে বহু সার্থক পাঠক্রমের সুপারিশ করেছে। কমিশন এই স্তরে পাঠক্রমকে দু'টি অংশে ভাগ করেছে—
● আবশ্যিক কেন্দ্রীয় বিষয়:
1) ভাষা : এই স্তরে দু’টি ভাষা আবশ্যিক – মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা বা মাতৃভাষা এবং একটি প্রাচীন ভাষা।
2) সমাজবিজ্ঞান : প্রথম দু'বছরের সাধারণ পাঠ।
3) সাধারণ বিজ্ঞান ও গণিত : প্রথম দু’বছরের জন্য সাধারণ পাঠ।
4) হস্তশিল্প : নিম্নলিখিত তালিকা থেকে যে কোনাে একটি হস্তশিল্প প্রয়ােজন অনুসারে বাছাই করে নিতে হবে – কাঠের কাজ, উদ্যান রচনা, দর্জির কাজ, ধাতুর কাজ, সূচিশিল্প ইত্যাদি।
0 Comments
Please Do Not Enter Any Span Link in The Comment Box