1.পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করে কী দেখা গেল?
উত্তর: পুলিশস্টেশনে প্রবেশ করে দেখা গেল সামনের হলঘরে জন-ছয়েক বাঙালি মোটঘাট নিয়ে বসে আছে।
2.জগদীশবাবু কী করছিলেন?
উত্তরঃ হলঘরে যে ক-জন বাঙালি মোটঘাট নিয়ে বসেছিল, জগদীশবাবু তাদের টিনের তোরঙ্গ ও পুঁটলি খুলে তদারক করছিলেন।
3.'তাহাকে আর একটা ঘরে আটকাইয়া রাখা হইয়াছে।'- কাকে আটকে রাখা হয়েছিল?
উত্তরঃ যে লোকটিকে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক বলে জগদীশবাবুর অত্যন্ত সন্দেহ হয়েছিল, তাকে একটা ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।
4.যাদের ধরে আনা হয়েছিল তারা কোথায় পুলিশস্টেশনে কাজ করত?
উত্তরঃ পুলিশস্টেশনে যে জন-ছয়েক বাঙালিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হয়েছিল, তারা সকলেই উত্তর-ব্রষ্মে বর্মা অয়েল-কোম্পানির তেলের খনির কারখানায় মিস্ত্রির কাজ করত।
5.কারা, কেন রেঙ্গুনে এসেছিল?
উত্তরঃ বৰ্মা অয়েল-কোম্পানির তেলের খনির কারখানা থেকে জন-ছয়েক বাঙালি মিস্ত্রি সেখানকার জলহাওয়া সহ্য করতে না পেরে চাকরির উদ্দেশে রেঙ্গুনে চলে এসেছিল।
6.‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ ‘পোলিটিক্যাল’ অর্থাৎ ‘রাজনৈতিক’ এবং ‘সাসপেক্ট’ অর্থাৎ ‘সন্দেহভাজন’। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেই এখানে ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ বলা হয়েছে। ‘পথের দাবী’ রচনাংশে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে ‘পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট’ বলা হয়েছে।
7.নিমাইবাবু কে?
উত্তরঃ নিমাইবাবু হলেন রেঙ্গুনে ব্রিটিশ সরকারের পুলিশের একজন বড়োকর্তা।
8.নিমাইবাবুর সামনে কাকে হাজির করা হয়েছিল?
উত্তরঃ রেঙ্গুন পুলিশের বড়োকর্তা নিমাইবাবুর সামনে হাজির করা হয়েছিল গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে ইংরেজের চোখে রাজবিদ্রোহী পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে।
9.‘সহসা আশঙ্কা হয়’—কী আশঙ্কা হয়?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্র কাশতে কাশতে থানায় প্রবেশ করে। সামান্য কাশিতেই সে এত হাঁপিয়ে পড়েছিল যে, তাকে দেখে আশঙ্কা হয় সংসারে যেন তার বেশিদিন আয়ু নেই।
10. 'অপূর্ব মুগ্ধ হইয়া সেইদিকে চাহিয়া ছিল,'— কোন্ দিকে অপূর্ব চেয়েছিল?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে সব্যসাচী মল্লিককে পুলিশের বড়োকর্তা নিমাইবাবুর কাছে নিয়ে এলে, অপূর্ব তার গভীর দৃষ্টির অতলে লুকোনো প্রাণশক্তির দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল।
11.নিমাইবাবু কীসের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলেন?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক সন্দেহভাজন সব্যসাচী মল্লিকের বেশভূষার বাহার ও পারিপাট্যের প্রতি নিমাইবাবু অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলেন।
12.‘কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে'— কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা এমন উক্তি করেছেন?
উত্তরঃ বক্তা রেঙ্গুন পুলিশের বড়োকর্তা নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের পোশাক বা বেশভূষার বাহার প্রসঙ্গে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
13.‘হাসি গোপন করিল।'—কে, কেন হাসি গোপন করেছিল ?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে সব্যসাচী মল্লিকের অদ্ভুতদর্শন পোশাক-পরিচ্ছদের বাহার ও পারিপাট্য দেখে অপূর্বর হাসি পেলেও, হাসা অশোভন হবে মনে করেই অপূর্ব হাসি গোপন করেছিল।
14.গিরীশ মহাপাত্রের চুল কীরূপ ছিল?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের মাথার সামনের দিকে ছিল বড়ো বড়ো চুল, তবে ঘাড় ও কানের দিকে চুল প্রায় ছিলই না। মাথায় চেরা সিঁথি ছিল অপর্যাপ্ত তৈলনিষিক্ত। তার কঠিন ও রুগ্ণ চুল থেকে লেবুর তেলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
15. গিরীশ মহাপাত্রের পায়ে কী ছিল?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের পায়ে ছিল সবুজ রঙের ফুলমোজা, যা হাঁটুর উপরে লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা ছিল। এ ছাড়া তার বার্নিশ করা পাম্প-শু-র তলায় লোহার নাল লাগানো ছিল।
16.‘অপূর্ব বারবার নিরীক্ষণ করিয়া কহিল।'- অপূর্ব কী বলেছিল?
উত্তর: অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশে সব্যসাচী মল্লিকের আপাদমস্তক বারবার নিরীক্ষণ করে বলেছিল যে, নিমাইবাবু যাকে খুঁজছেন উক্ত ব্যক্তিটি তিনি হতে পারেন না, তাই তাকে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ছেড়ে দেওয়া যায়; আর অপূর্ব নিজে তার জামিন হতে পারে।
17. নিমাইবাবুর প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী কী নাম বলেছিল?
উত্তর: নিমাইবাবুর প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী মল্লিক বলেছিল যে, তার নাম গিরীশ মহাপাত্র।
18. গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাক থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল ?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাক তল্লাশি করে একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা পাওয়া গিয়েছিল।
19. গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে কী কী পাওয়া যায়?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটি লোহার কম্পাস, একটি কাঠের ফুটরুল, কয়েকটি বিড়ি, একটি দেশলাই এবং একটি গাঁজার কলকে পাওয়া যায়।
20.“তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?”—কোন্ বস্তুটি’ পকেটে ছিল? (মাধ্যমিক, ২০১৮)
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী' গদ্যাংশে গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে একটি গাঁজার কলকে ছিল। আলোচ্য প্রশ্নে ‘বস্তুটি’ বলতে গাঁজার কলকেটিকেই বোঝানো হয়েছে।
21.গিরীশ মহাপাত্র কী উদ্দেশ্যে গাঁজার কলকেটি নিজের পকেটে রেখেছিলেন?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্র পথে কলকেটি পেয়েছিল। কারও যদি কাজে লাগে— এই ভেবে কলকেটি সে নিজের পকেটে রেখেছিল।
22.“বুড়োমানুষের কথাটা শুনো”—বুড়োমানুষের কোন কথা শুনতে বলা হয়েছে? (মাধ্যমিক, ২০২০)
উত্তরঃ বুড়োমানুষ অর্থাৎ নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খেতে নিষেধ করেছিলেন।
23.'আজ্ঞে না মাইরি খাইনে।'— কোন্ প্রসঙ্গে বক্তার এই উক্তি?
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশে রেঙ্গুনের পুলিশস্টেশনে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রকে পুলিশের বড়োকর্তা সে গাঁজা খায় কিনা প্রশ্ন করেন। তার উত্তরে গিরীশ মহাপাত্র প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।
24.“জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন, দয়ার সাগর!” জগদীশবাবুর চটে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তরঃ গাঁজা খাওয়া প্রসঙ্গে গিরীশ মহাপাত্র বলে যে, সে গাঁজা না খেলেও তার বন্ধুরা কেউ তৈরি করে দিতে বললে তাদের সেজে দেয় । এ কথা শুনেই জগদীশবাবু চটে যান।
25.‘সে যে বর্মায় এসেছে এ খবর সত্য।'— ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘সে’ বলতে রাজবিদ্রোহী বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলা হয়েছে।
26. 'এই জানোয়ারটিকে ওয়াচ করবার দরকার নেই'- বক্তা ‘জানোয়ার’ বলতে কাকে বুঝিয়েছেন?
উত্তর: বক্তা জগদীশবাবু ‘জানোয়ার’ বলতে গিরীশ মহাপাত্রকে বুঝিয়েছেন।
27.“বড়োবাবু হাসিতে লাগিলেন।”— বড়োবাবুর হাসির কারণ কী?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্র মাথার চুলে লেবুর তেল মেখেছিল। সেই প্রসঙ্গে জগদীশবাবু বলেন যে, সেই লেবুর তেলের উগ্র গন্ধে থানাসুদ্ধ লোকের মাথা ধরে গেছে। এ কথা শুনেই বড়োবাবু উত্তর হাসতে থাকেন।
28.গিরীশ মহাপাত্র যখন থানা থেকে প্রস্থান করে, তখন তার সঙ্গে কী কী জিনিস ছিল?
উত্তর: গিরীশ মহাপাত্র যখন থানা থেকে প্রস্থান করে তখন তার সঙ্গে ছিল একটা ভাঙা টিনের তোরঙ্গ এবং চাটাই জড়ানো ময়লা বিছানার বান্ডিল।
29.বাসায় ফিরে অপূর্ব কী করল?
উত্তর: বাসায় ফিরে অপূর্ব দাড়ি-গোঁফ কামানো, সন্ধ্যাহ্নিক, স্নানাহার, পোশাক পরা ইত্যাদি নিত্য কাজগুলি করল।
30.পুলিশস্টেশন থেকে বাসায় ফিরে অপূর্ব কোন্ চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ে?
উত্তর: পুলিশস্টেশন থেকে বাসায় ফিরে আসার পরে অপূর্বর মন যেন সাংসারিক সকল কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, কোনো এক অদৃষ্ট-অপরিজ্ঞাত রাজবিদ্রোহীর চিন্তাতেই মগ্ন হয়ে পড়ে।
31.তলওয়ারকর চিন্তিত হয়েছিল কেন?
উত্তর: অপূর্বর অন্যমনস্কতা লক্ষ করে তলওয়ারকর ভেবেছিল যে, অপূর্বর বাড়ি থেকে হয়তো কোনো খারাপ সংবাদের চিঠি এসেছে— তাই তলওয়ারকর চিন্তিত হয়েছিল।
32.অপূর্ব কিছু আশ্চর্য হইয়া কহিল।'— অপূর্ব আশ্চর্য হয়েছিল কেন?
উত্তর: অপূর্বকে অন্যমনস্ক দেখে রামদাস তলওয়ারকর অপূর্বকে জিজ্ঞাসা করে যে, বাড়ি থেকে তার কোনো চিঠি এসেছে কি না এবং বাড়ির সকলে ভালো আছেন কিনা। রামদাস হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন করায় অপূর্ব আশ্চর্য হয়েছিল।
33.টিফিনের সময় একত্রে কারা জলযোগ করত?
উত্তর: টিফিনের সময় অপূর্ব এবং রামদাস তলওয়ারকর একত্রে বসে জলযোগ করত।
34.“অপূর্ব রাজি হইয়াছিল।”—কোন্ কথায় অপূর্ব রাজি হয়েছিল ?
উত্তর: রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে অনুরোধ করেছিল যে, যতদিন অপূর্বর
মা বা বাড়ির কোনো আত্মীয় এসে তার সঙ্গে না থাকে, ততদিন অপূর্বকে তার হাতের মিষ্টি খেতে হবে। অপূর্ব এই কথায় রাজি হয়েছিল।
৩৫ ‘কাল তাহার ঘরে চুরি হইয়া গেছে, — কার ঘরে, কী চুরি হয়েছিল ?
উত্তরঃ রেঙ্গুন প্রবাসী অপূর্বর ঘর থেকে টাকাকড়ি চুরি হয়েছিল।
36.কার জন্য অপূর্বর জিনিসপত্র বেঁচে গেছে?
উত্তর: বাড়ির উপরের তলার বাসিন্দা খ্রিস্টান মেয়েটির জন্য অপূর্বর জিনিসপত্র বেঁচে গেছে।
37. খ্রিস্টান মেয়েটি সম্বন্ধে অপূর্বর কী ধারণা হয়?
উত্তর: খ্রিস্টান মেয়েটি খুব বড়ো কার্যকুশলা এবং বড়ো বন্ধু— অপূর্বর এমন ধারণাই হয়েছিল খ্রিস্টান মেয়েটি সম্পর্কে।
38.'ইত্যবসরে এই ব্যাপার।'— কোন্ ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে ফয়ায় গিয়েছিল আর অপূর্ব তখন অফিসে ছিল। এই অবসরেই অপূর্বর বাসায় চুরি হয়ে যায়। উদ্ধৃত অংশে এই চুরির ব্যাপারটির কথাই বলা হয়েছে।
39.অপূর্ব তার বাড়িতে চুরির খবর কখন, কোথায় পৌঁছে দিতে গিয়েছিল?
উত্তর: অপূর্ব তার বাড়িতে চুরি হওয়ার পরের দিন সকালবেলা রেঙ্গুন পুলিশস্টেশনে চুরির খবর পৌঁছে দিতে গিয়েছিল।
40. নিমাইবাবুর সঙ্গে অপূর্বর সম্পর্ক কী?
উত্তর: নিমাইবাবু ছিলেন অপূর্বর বাবার বন্ধু। অপূর্ব তাকে আত্মীয় জ্ঞান করত এবং কাকাবাবু বলে ডাকত।
41.নিমাইবাবুকে কে চাকরি করে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নিমাইবাবুকে চাকরি করে দিয়েছিলেন অপূর্বর বাবা।
42.‘এ-সব কথা বলার দুঃখ আছে।'—কোন্ কথা বলায় দুঃখ আছে বলে বক্তার ধারণা?
উত্তর: অপূর্ব ভারতীয় বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে নিজের আত্মীয় স্থানীয় নিমাইবাবুর থেকে বেশি আপন মনে করলে—রামদাস ভেবেছিল অপূর্ব ইংরেজদের রোষের মুখে পড়তে পারে। সেই বিপদে দুঃখ আছে বলে বক্তার ধারণা।
43.‘তার লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না’— বক্তা কোন্ লাঞ্ছনার প্রতি ইঙ্গিত করেছে?
উত্তর: ফিরিঙ্গিদের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ জানাতে গেলে, দেশি লোক বলে অপূর্বকে স্টেশনমাস্টার স্টেশন থেকে কুকুরের মতো দূর করে দিয়েছিল—এই লাঞ্ছনার প্রতিই বক্তা অপূর্ব ইঙ্গিত করেছে।
44.‘এমন তো নিত্য-নিয়তই ঘটচে'— কী ঘটছে?
উত্তরঃ ইংরেজ সরকার ও তার বেতনভুক্ত দেশি সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা ভারতীয়দের লাঞ্ছনা ও শোষণ নিত্যনিয়তই ঘটছে বলে অপূর্ব মনে করেছে।
45.কী কারণে রামদাসের মুখ আরক্ত হয়ে উঠেছিল?
উত্তরঃ ফিরিঙ্গিরা অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল এবং সাহেব স্টেশনমাস্টার দেশি লোক বলে অপূর্বকে তাড়িয়ে দিয়েছিল—অপূর্বর এই ঘটনা শুনে রামদাসের মুখ রাগে, দুঃখে আরক্ত হয়ে উঠেছিল।
46. লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই।'—কোন্ কথা মনে করে অপূর্বর এই মনোবেদনা?
উত্তরঃ স্টেশনে অপূর্বর উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করার সময় দেশের লোক সেখানে থাকা সত্ত্বেও তারা এগিয়ে আসেনি। তারা ছিল এই ঘটনায় অত্যন্ত নির্লিপ্ত। এই কথা মনে করে অপূর্ব যেন দুঃখে, লজ্জায় ও ঘৃণায় মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
47. ‘ভামো’ যাওয়ার অনুরোধে অপূর্ব সম্মত হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ রেঙ্গুনে বিভিন্ন ঘটনার লাঞ্ছনা ও অপমানে অপূর্বর একমুহূর্তও মন টিকছিল না। তা ছাড়া ‘ভামো’ গেলে দেশটাকেও সেই মনে হলে দুঃখে সূত্রে দেখা হয়ে যাবে—তাই অপূর্ব ‘ভামো’ যাওয়ার অনুরোধে সম্মত হয়েছিল।
48.ভামো যাত্রার ট্রেনে অপূর্বের কে কে সঙ্গী হয়েছিল? (মাধ্যমিক, ২০১৯)
উত্তরঃ‘ভামো’ নগরে যাত্রাকালে অপূর্বর সঙ্গে ছিল আরদালি এবং অফিসের একজন হিন্দুস্থানি ব্রাত্মণ পেয়াদা।
49.রামদাস তলওয়ারকর তেওয়ারিকে সাহস দিয়ে কী বলেছিল?
উত্তরঃ রামদাস তলওয়ারকর তেওয়ারির পিঠ চাপড়িয়ে সাহস দিয়ে বলেছিল যে, তার কোনো চিন্তার কারণ নেই; কোনো কিছু হলেই সে যেন অফিসে গিয়ে তলওয়ারকরকে সব খবর দেয়।
50.‘ভামো’ যাওয়ার সময় স্টেশনে কার সঙ্গে অপূর্বর সাক্ষাৎ হয়?
উত্তরঃ‘ভামো’ যাত্রাকালে স্টেশনে গিরীশ মহাপাত্রের সঙ্গে অপূর্বর সাক্ষাৎ হয়।
51.'আমারও তো তাই বিশ্বাস।' —বক্তার কী বিশ্বাস?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্র অপূর্বকে বলেছিল কপালের লেখা অর্থাৎ নিয়তি কখনও খণ্ডানো যায় না। অপূর্বও তখন এই কথায় সম্মতি জানিয়ে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিল।
52.‘কিন্তু তোমার বাপু একটা ভুল হয়েছে,’ ––কার কোন্ ভুল হয়েছিল?
উত্তরঃ গিরীশ মহাপাত্র অপূর্বকে প্রথমবার থানায় দেখে তাকে পুলিশের লোক ভেবেছিল। তার এই ভুল ভাঙার জন্য অপূর্ব দ্বিতীয়বার মহাপাত্রের সঙ্গে দেখা হলে তাকে এই কথা বলে।
53.‘আমি পুলিশের লোক নই’—কে, কাকে উদ্দেশ করে কথাটি বলেছে?
উত্তরঃ বর্মাদেশে চাকরিসূত্রে আসা অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী, রাজনৈতিকভাবে সন্দেহভাজন সব্যসাচী মল্লিককে উদ্দেশ করে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।
54.অপূর্ব ট্রেনের কোন শ্রেণির যাত্রী ছিল?
উত্তরঃ অপূর্ব ট্রেনের প্রথম শ্রেণির যাত্রী ছিল।
55.ট্রেনের কামরাটি কেমন ছিল?
উত্তর: ট্রেনের কামরাটিতে অপূর্ব ছাড়া আর কেউ ছিল না, অর্থাৎ কামরাটি ছিল নির্জন।
56. ভোজনাদি সমাপ্ত করে অপূর্ব কী করে?
উত্তর : ভোজনাদি সমাপ্ত করে হাত-মুখ ধুয়ে অপূর্ব পরিতৃপ্ত ও সুস্থ চিত্তে শয্যাগ্রহণ করেছিল।
57.আরদালি কীরূপে অপূর্বর যত্ন করেছিল?
উত্তর: অপূর্বর ব্রাহ্মণ আরদালি অপূর্বর জল ও পানের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। সে অপূর্বর শয্যাও প্রস্তুত করে রেখেছিল।
58.ট্রেনের মধ্যে অপূর্ব কীভাবে সায়ংসন্ধ্যা সমাপন করেছিল?
উত্তর: সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হলে অপূর্ব তার পিরানের ভিতর থেকে পৈতা বের করে বিনা জলেই সায়ংসন্ধ্যা সমাপন করেছিল।
59.“ইহা যে কতবড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল।”—‘ভ্রম ’ টি কী ?(মাধ্যমিক, ২০১৭)
উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী' পাঠ্যাংশে বর্ণিত অপূর্ব ভেবেছিল ভামো যাওয়ার পথে ট্রেনে প্রথম শ্রেণির কামরায় যাত্রাকালে সকাল পর্যন্ত তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না। কিন্তু রাতে তিন বার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটেছিল। এই ঘটনাকেই ‘ভ্রম’ বলা হয়েছে।
60.‘ভামো’র যাত্রাপথে ট্রেনে অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল কেন?
উত্তর: ভামোর পথে রাতে ট্রেনে পুলিশ বার-তিনেক অপূর্বর ঘুম ভাঙিয়ে নাম-ধাম-ঠিকানা লিখে নিয়েছিল। এমন ঘটনায় অপূর্ব বিরক্ত হয়েছিল।
61.বর্মার সাব-ইনস্পেকটর অপূর্বকে কটু কথা বলেন কেন?
উত্তর: রাতে ট্রেনের মধ্যে পুলিশ বার-তিনেক অপূর্বর ঘুম ভাঙিয়ে তার নাম-ধাম ও ঠিকানা লেখার সময় বিরক্ত হয়ে অপূর্ব প্রতিবাদ করলে বর্মার সাব-ইনস্পেকটর অপূর্বকে কটু কথা বলে।
62.‘তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।'— উক্তিটির বক্তা কে?
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটির বক্তা বর্মার একজন সাব-ইনস্পেকটর সাহেব।
63.‘ও নিয়ম রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য’— বক্তা কোন্ নিয়মের কথা বলেছে?
উত্তর: উদ্ধৃত অংশে বক্তা রেঙ্গুনের এক পুলিশ রেলের প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের রাত্রে কেউ বিঘ্ন ঘটাবে না— এই নিয়মের কথা বলেছে।
64. 'ইচ্ছা করিলে আমি তোমাকে টানিয়া নীচে নামাইতে পারি।'— বক্তা কার উদ্দেশে এ কথা বলে?
উত্তর : বক্তা হল বর্মার একজন পুলিশ, যে রাতের ট্রেনে ভ্রমণরত অপূর্বকে উদ্দেশ করে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।