উত্তরঃ প্রাচীন এথেন্স মূলত রাজার অধীনে ছিল। এর পর ধীরে ধীরে তা গণতন্ত্রের দিকে আসতে থাকে। এখানে সবার ভোটাধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও নারী, শিশু ও ক্রীতদাসরা ভোট দিতে পারত না।
এথেন্সের শাসন কাঠামো প্রাচীন গ্রিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ এবং এটি গণতন্ত্রের প্রাথমিক রূপ হিসেবে পরিচিত। এথেন্সের শাসন কাঠামো সাধারণত তিনটি প্রধান পর্যায়ে বিবর্তিত হয়েছে:
1. **প্রাথমিক রাজতন্ত্র (Monarchy):** এথেন্সের প্রাথমিক শাসন ব্যবস্থা ছিল রাজতন্ত্র, যেখানে একজন রাজা শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এসময় রাজারা ধর্মীয় ও সামরিক ক্ষমতা ধরে রাখতেন।
2. **অলিগার্কি (Oligarchy):** রাজতন্ত্রের পরে এথেন্সে অলিগার্কি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে ধনী ও ক্ষমতাশালী বংশগুলো শাসনক্ষমতা গ্রহণ করে। আর্কন নামে পরিচিত শাসকরা এ সময় শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।
3. **গণতন্ত্র (Democracy):** খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে এথেন্সে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল প্রাচীন বিশ্বের প্রথম সরাসরি গণতন্ত্রের উদাহরণ, যেখানে নাগরিকেরা সরাসরি বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। গণপরিষদ (Ecclesia) নামে একটি সাধারণ সভা ছিল, যেখানে এথেন্সের পূর্ণ নাগরিকেরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারতেন এবং আইন প্রণয়ন করতে পারতেন। আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ছিল:
- **বুলে (Boule):** ৫০০ সদস্যের এই পরিষদ আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নিতো এবং দৈনন্দিন শাসনকার্য পরিচালনা করত।
- **জুরি আদালত (Heliaea):** এই আদালত বিচারকার্য পরিচালনা করত এবং এথেন্সের বিচারব্যবস্থার প্রধান কেন্দ্র ছিল।
এ শাসন কাঠামোতে শুধুমাত্র পুরুষ নাগরিকেরা অংশ নিতে পারত, এবং নারীরা, দাসরা বা পরদেশীরা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারত না।