দুই বন্ধুর মধ্যে রক্তদানের উপযোগিতা নিয়ে সংলাপ:
বন্ধু ১: হাই বন্ধু! কেমন আছিস?
বন্ধু ২: ভালো আছি। তোর খবর কী?
বন্ধু ১: আমিও ভালো। আজ একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবছিলাম—রক্তদান সম্পর্কে। এটা কি আসলেই উপকারী?
বন্ধু ২: অবশ্যই! রক্তদান খুবই উপকারী এবং মহৎ কাজ। একজন রক্তদাতা অনেক সময় একজন মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে।
বন্ধু ১: তা ঠিক, কিন্তু রক্ত দিলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় না?
বন্ধু ২: না না, এটা ভুল ধারণা। একজন সুস্থ মানুষ প্রতি তিন মাস পরপর রক্ত দিতে পারে। এতে শরীরের নতুন রক্তকণিকা তৈরি হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
বন্ধু ১: ও আচ্ছা! তাহলে রক্তদান শুধু অন্যকে সাহায্য করে না, আমাদের নিজেদের জন্যও ভালো?
বন্ধু ২: ঠিক বলেছিস। রক্ত দিলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং মানসিক শান্তি পাওয়া যায় কারণ এটি মানবতার সেবার এক অংশ।
বন্ধু ১: তাহলে তো রক্তদান শুধু দায়িত্বই নয়, এটা শরীরের জন্যও উপকারী।
বন্ধু ২: হ্যাঁ, আর রক্তের কোনো কৃত্রিম বিকল্প নেই। তাই আমাদের মতো সুস্থ মানুষদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
বন্ধু ১: খুব ভালো বলেছিস। আমি ভাবছি, আগামী মাসে একটি রক্তদান কর্মসূচিতে যোগ দেব।
বন্ধু ২: দারুণ সিদ্ধান্ত! আমি তো নিয়মিত রক্ত দেই। তুইও শুরু কর। একসঙ্গে গেলে আরও ভালো লাগবে।
বন্ধু ১: নিশ্চয়ই। চল, আমরা অন্যদেরও রক্তদানের ব্যাপারে উৎসাহিত করি।
বন্ধু ২: একদম! রক্তদান জীবনদান। আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।