দুই বন্ধুর মধ্যে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার নিয়ে সংলাপ:
বন্ধু ১: কিরে, তুই সারাক্ষণ মোবাইলে কী দেখিস? আমি তোকে কিছু বলছি, তুই শুনছিসও না!
বন্ধু ২: আরে না, আমি একটা ভিডিও দেখছিলাম। একটু দেরি হয়ে গেল। বল, কী বলছিস?
বন্ধু ১: তুই খেয়াল করেছিস? আমাদের মধ্যে অনেকেই এখন মোবাইল ফোনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এটা তো একটা আসক্তির মতো হয়ে গেছে!
বন্ধু ২: হ্যাঁ, সেটা ঠিক। আমি নিজেও বুঝতে পারছি যে মোবাইল ব্যবহার করার সময় কখন যে কেটে যায়, টেরই পাই না।
বন্ধু ১: মোবাইল ফোন দরকারি, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে পড়াশোনা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বন্ধু ২: একদম ঠিক। বিশেষ করে রাত জেগে মোবাইলে গেম খেলা আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করা আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
বন্ধু ১: শুধু তাই নয়, এতে মানসিক চাপ বাড়ে, চোখের ক্ষতি হয়, এবং অনেক সময় ভুল তথ্য বা ভুয়া খবরও ছড়িয়ে পড়ে।
বন্ধু ২: সত্যি বলছিস। ছোটরা তো এখন খেলাধুলা ছেড়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বড় সমস্যা দেখা দেবে।
বন্ধু ১: তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। মোবাইলের ভালো দিকগুলোর পাশাপাশি এর অপব্যবহার যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বন্ধু ২: ঠিক বলেছিস। আমি এখন থেকে মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা ঠিক করে নেব। প্রয়োজন ছাড়া আর ব্যবহার করব না।
বন্ধু ১: খুব ভালো সিদ্ধান্ত! আমরা সবাই যদি এরকম পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ব্যবহার করি, তাহলে এর অপব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে।
বন্ধু ২: হ্যাঁ, চল আমরা অন্যদেরও এই বিষয়ে সচেতন করি।
বন্ধু ১: ঠিক আছে, শুরু হোক মোবাইল ব্যবহারের নতুন শৃঙ্খলা!